দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফাইল ছবি।
করোনা সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতি দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এক দিনে প্রায় ২ হাজার মানুষ নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮৯০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত সাত মাস অর্থাৎ ২১০ দিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে শেষ বার এক দিনে এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর মার্চ মাসে এই নিয়ে পর পর দু’দিন সংক্রমণের সংখ্যা ১৮০০ পেরিয়ে গেল। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যে হারে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তা ২ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞেরাও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশ জুড়ে কোভিডের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী মাসের ১০ এবং ১১ তারিখ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। অনুষ্ঠিত হবে মহড়া। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে মহড়ার আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে রাজ্যগুলির কাছে নির্দেশিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
পরিসংখ্যান বলছে, গত এক সপ্তাহে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের সপ্তাহেই সংখ্যাটি ছিল ১৯। ফলে মৃত্যুর পরিসংখ্যানও কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৮১ জন। তার আগের সপ্তাহের পরিসংখ্যানের চেয়ে যা ৭৮ শতাংশ বেশি। পূর্ববর্তী সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৯২৯ জন। সে ক্ষেত্রেও দৈনিক সংক্রমণে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। গত ৬ সপ্তাহ ধরেই করোনা ধীরে ধীরে মাথা চারা দিয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী দিনে নতুন করে অতিমারির পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধপত্র, অক্সিজেন এবং আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে কি না, যাচাই করে দেখা হবে এপ্রিলের মহড়ায়।