তকতে এগিয়ে চলেছে গুজরাত উপকূলের দিকে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’ এগিয়ে চলেছে গুজরাত উপকূলের দিকে। তকতে-র তাণ্ডবে কর্নাটকে ৪ জনের পর রবিবার কেরলেও মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কেরলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ২টি জেলায়। এর্নাকুলাম ও কোঝিকোড়ে।
মৌসম ভবন রবিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তকতে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে সোমবার সকালে গুজরাতের পোরবন্দর ও নালিয়ার মধ্যবর্তী কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। গুজরাত ও দিউ উপকূলে ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। মৌসম ভবনের সিনিয়র ডিরেক্টর (আবহাওয়া) শুভানি ভুতে জানিয়েছেন, তকতে-র দাপটে রবিবার বিকেল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হতে পারে মুম্বই ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে গোটা কোঙ্কন ও পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পার্বত্য এলাকাগুলিতে। রবি ও সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুর ও সাতারায়। এ ছাড়াও তুমুল বৃষ্টি হতে পারে গুজরাতের জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কর্নাটকে যে শুধুই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নয়, ৭৩টি বাড়িও ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছে কর্নাটক প্রশাসন। যে ৬টি জেলায় ঝড়ের দাপট সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে তিনটি উপকূলবর্তী ও তিনটি পশ্চিমঘাট পর্বত সংলগ্ন। রবিবার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গিয়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। গোয়ার একটা বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু রাস্তা।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ এই ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাত উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে তকতে গুজরাতের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনও সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি। ঝড়ের সময় দলের কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীও।