প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার পশ্চিম-উত্তর মুখে অগ্রসর হচ্ছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, পুদুচেরি থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে সেটি।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, নিম্নচাপটি ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫-৬৫ কিলোমিটার। এটি যত অগ্রসর হবে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে বলে মৌসম ভবন জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছবে বলে জানানো হয়েছে। সেটা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ রূপ নিয়ে বুধবার বিকেলের দিকে মামাল্লাপুরম এবং কারাইকলের মাঝে আছড়ে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস। সে সময় ঘূর্ণিঝড় নিভার-এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারও। পুদুচেরিতে আগামী তিন দিনের জন্য ১৪৪ ধারা করেছে প্রশাসন। চেন্নাইয়ের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’-এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে ভিলুপুরম, কাড্ডালোর, পুদুচেরি এবং চেন্নাইয়ে।
এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ই পলানিস্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং উদ্ধারকাজের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৩০টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি দল তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে বলে এনডিআরএফ সূত্রে খবর। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তামিলনাড়ুতে এ দিন থেকেই আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অন্ধ্রপ্রদেশেও সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রায়লসীমা এবং উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। নেল্লোর, চিত্তুর জেলায় হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার। সঙ্গে চলবে বৃষ্টিও।