নিসর্গের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি মুম্বইয়ে। ঠাণেতে বুধবার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
মহারাষ্ট্রের উপকূলে আলিবাগে আছড়ে পড়ল সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম বা ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’ নিসর্গ। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের বিকেল পাঁচটার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বেলা সাড়ে বারোটা থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
তবে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ১১০ কিমি। ওই বুলেটিনেই বলা হয়েছে, আলিবাগে ঝড়ের গতিবেগ ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। কোলাবায় এই গতিবেগ ৩৩, সান্তাক্রুজে ২২ কিলোমিটার এবং রত্নগিরিতে ১১ কিমি প্রতি ঘণ্টা। বৃষ্টিপাতও সবচেয়ে বেশি হয়েছে আলিবাগে। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার। এ ছাড়া রত্নগিরিতে ৩৮, কোলাবায় ৪৩ এবং সান্তাক্রজে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ফলে স্বস্তি ফিরেছে মুম্বইয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়েনি বাণিজ্যনগরীতে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে কিছু গাছ উপড়ে পড়া ছাড়া তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। তবে রায়গড়ের আলিবাগে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ৫৪ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ থেকে লাফিয়ে ২ লাখ ছাড়াল
আরও পড়ুন: ১৩৮ বছর পর ঢুকছে ‘নিসর্গ’! সাইক্লোন কেন বিরল মুম্বইয়ে
তবে উপকূল বরাবর মহারাষ্ট্র ও গুজরাত দুই রাজ্য মিলিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৩০টি দল নামানো হয়েছিল। এক একটি দলে রয়েছেন ৪৫ জন। দুই রাজ্যের উপকূল এলাকা থেকে প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।