বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’। —ফাইল ছবি
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’। তার জেরে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে তুমুল ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু, পুদুচেরী এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে চেন্নাইয়ে।
বঙ্গোপসাগরে স্থলভাগ থেকে অনতিদূরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। বুধবার বিকেলের বুলেটিনে মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপ রয়েছে চেন্নাই থেকে ৭৭০ কিলোমিটার দূরে। তা শীঘ্রই পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। বৃহস্পতিবার থেকে চেন্নাই এবং তামিলনাড়ুর অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টি শুরু হবে। ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী ২ দিন। এর জেরে উপকূল সংলগ্ন তামিলনাড়ুর মোট ১৩টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ‘মনদৌস’ তৈরি হওয়ার পর তা ধীরে ধীরে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। উত্তর তামিলনাড়ু, পুদুচেরী এবং সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছবে বুধবার সকালে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তার অভিমুখ থাকবে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমে।
দুর্যোগের মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে তামিলনাড়ু সরকার। তারা জানিয়েছে, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া, ‘মনদৌস’-এর কথা মাথায় রেখে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৫টি দল পাঠানো হয়েছে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরীতে। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্যও দল প্রস্তুত রেখেছে এনডিআরএফ।
দক্ষিণ ভারতে ‘মনদৌস’-এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ‘মনদৌস’-এর প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টি না হলেও তাপমাত্রা বাড়বে। শীতের মুখে তাপমাত্রার পারদ বেশ খানিকটা চড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।