সাইক্লোন ‘কিয়ার’-এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাাভাস গোয়া-কর্নাটকে। —ফাইল চিত্র
ফের ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। নুতন এই ঘুর্ণিঝড়ের নাম ‘কিয়ার’। এর প্রভাবে কোঙ্কণ অঞ্চল, গোয়া, কর্নাটকের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হবে ওড়িশা, অসম, মেঘালয়েও। তবে ভারতীয় উপকূলে ‘কিয়ার’-এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার আবহাওয়া বার্তায় মৌসম ভবন জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে যে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ওই বার্তার সময় গভীর নিম্নচাপটি মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি থেকে ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ওই বার্তাতেই বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তার পরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে রূপ নেবে ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের। তবে আশার কথা সেটি ভারতীয় উপকূলের দিকে আসবে না। মৌসম ভবনের বার্তায় বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের দিকে এগোতে থাকবে। তার পরে আবার অভিমুখ পাল্টে পশ্চিম দিকে ঘুরে দক্ষিণ ওমান এবং সংলগ্ন ইয়েমেন উপকূলের দিকে ধেয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গোপাল কান্ডার সমর্থন প্রশ্নে দু’ভাগ বিজেপি, তীব্র ভর্ৎসনা বিরোধীদেরও
আরও পড়ুন: সারা দিনই চলবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, তবে আলোর উৎসবে বাধা হবে না নিম্নচাপ
কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কোঙ্কণ উপকূল এবং গোয়ার বিভিন্ন এলাকায় এবং কর্নাটকের উপকূলীয় এলাকায় কখনও ভারী, কখনও বা অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা। পাশাপাশি ওড়িশা, অসমে বিক্ষিপ্ত ভাবে হতে পারে ভারী বৃষ্টি।
আবহবিদ্যায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বলা হয়। সেই গতিবেগ আরও বেড়ে ১৮৮ থেকে ১৬৬ কিলোমিটার হলে তা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এর পর্যায়ে পড়ে।