—প্রতীকী ছবি।
প্রবল আকার ধারণ করেছিল আগেই। ক্রশম শক্তি বাড়িয়ে এ বার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলেছে ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবনের তরফে এই সংক্রান্ত সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রবিবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে।
স্থলভাগে কবে এবং কোথায় এটি আছড়ে পড়বে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনও কিছু জানানো না হলেও, হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তান এবং গুজরাতের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে এটি। তার পর অভিমুখ না বদলালে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে গুজরাত এবং পাকিস্তান উপকূলেই আছড়ে পড়তে পারে ‘বিপর্যয়’। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
মৌসম ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝ়়ড়টি। আপাতত সেটি মুম্বই থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পোরবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে আছে ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, ‘বিপর্যয়’ যেহেতু অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিচ্ছে, তাই পরে শক্তিক্ষয় না হলে ঘণ্টায় ১১৮-১৬৫ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে সেটি। মৌসম ভবনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ঝড়ের প্রভাবে কর্নাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া। রবিবার এবং সোমবার হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি। গুজরাট, কেরল, কর্নাটক, লক্ষদ্বীপে উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গুজরাটে তিতহাল সৈকত ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। আরব সাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে বাংলাদেশ।