রাজস্থানে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতে আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ক্রমশ শক্তি হারিয়েছে। কিন্তু ‘দুর্বল’ হলেও ‘বিপর্যয়ের’ হাত থেকে রেহাই নেই। এ বার তার কোপ পড়েছে রাজস্থানে। গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে জেরবার মরু রাজ্য। রাজস্থানের বেশ কিছু জেলায় প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে ওই রাজ্যে।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত অন্যান্য জেলায় তাঁর সফর বাতিল করেছেন। তিনি বৃষ্টিবিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে আসবেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার গহলৌত যাবেন বারমের, সিরোহি এবং জালোরে। পালি এবং জোধপুরের পরিস্থিতি তিনি আগামী বুধবার ঘুরে দেখবেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টি হয়েছে জালোর, সিরোহি, পালি, বারমের, টোঙ্ক জেলায়। প্রবল বর্ষণে সেখানে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত দু’দিন ধরে রাজস্থানে বৃষ্টিকবলিত এলাকা থেকে অন্তত ২৬৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে শামিল জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এ ছাড়া, রাজস্থানের নিচু এলাকা থেকে অন্তত ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজস্থানে ‘বিপর্যয়ের’ প্রভাবে এখনও পর্যন্ত ৮,৭০০ কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া, ৮,৫০০ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে, ২০০০ ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়েছে এবং অন্তত ২২৫টি সরকারি স্কুল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাজস্থানে এই মুহূর্তে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও লাল সতর্কতা নেই। তবে বরন, কোটার মতো কিছু এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি এবং বুন্দি, টোঙ্ক, কারোলির মতো এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলতে পারে বুধবার পর্যন্ত।