চূড়ান্ত সতর্কতা ওড়িশায়। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দু’দশক আগে সুপার সাইক্লোনের ক্ষত এখনও তাজা। তার মধ্যেই গত বছর সে রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। গোটা রাজ্য তছনছ করে বিদায় নিয়েছিল সে। এ বার আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় আমপান। সময় থাকতে তাই তার মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করল ওড়িশা।
বুধবার বিকালে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ঘূর্ণিঝড় আমপানের। তার প্রভাবে ওড়িশায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে সম্ভাবনা রয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার বয়ে যাওয়ারও। তাই আগে ভাগেই উপকূল এলাকায় থেকে মানুষজনকে সরাতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মানুষকে সতর্ক করতে এসএমএস অ্যালার্ট পাঠানো এবং সাইরেন বাজানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনার পিকে জেনা জানিয়েছেন, উপকূল এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে যা হিসাব পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন রাতের মধ্যেই সকলকে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ৫১০ কিমি দূরে আমপান, ঝোড়ো হাওয়া উপকূলে
আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ লোককে সরালো প্রশাসন, কাল বাড়ির বাইরে বেরবেন না: মমতা
দিল্লির মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, ঘূর্ণিঝড় আমপানের প্রভাবে ওড়িশায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরের মতো উপকূল এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
অন্য দিকে, ঘূর্ণিঝড় পূর্ব সতর্কতা হিসাবে ভুবনেশ্বর-খড়্গপুর রুটের সমস্ত বিশেষ ট্রেনের চলাচল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে। ভদ্রক-খড়্গপুর রুটের সমস্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনও বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্ত মালগাড়িকে সম্বলপুর-ঝারসুগুডা হয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।