Tiger Attack in Wayanad

জীবিত বা মৃত, বাঘ ধরতেই হবে! মহিলার মৃত্যুতে ফুঁসছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ওয়েনাড়, জারি কার্ফু

শনিবার মনন্তবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। বাঘের হামলায় মৃত মহিলার শেষকৃত্য হয় শনিবার। তার পরই স্থানীয়েরা বন দফতরের অফিস ঘেরাও করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯
Share:

ওয়েনাড়ে বাঘের আতঙ্ক। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাঘের হামলায় মহিলার মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সাংসদীয় এলাকা কেরলের ওয়েনাড়। আওয়াজ উঠছে, জীবিত হোক বা মৃত, যে ভাবেই হোক বাঘ ধরতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ওয়েনাড়ে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তাই কার্ফু জারি করা হয়েছে।

Advertisement

ওয়েনাড়ের মনন্তবাড়ি এলাকায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বাঘের হামলায়। তার পর থেকেই ওই এলাকা এবং পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। বাঘ ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বন দফতর। কিন্তু বাঘকে এখনও বাগে আনতে পারেনি তারা। শেষমেশ বাঘের খোঁজে প্রশিক্ষিত হাতি আনতে হয়েছে বন দফতরকে।

শনিবার মনন্তবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। বাঘের হামলায় মৃত মহিলার শেষকৃত্য হয় শনিবার। তার পরই স্থানীয়েরা বন দফতরের অফিস ঘেরাও করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, যে ভাবেই হোক বাঘকে ধরতে হবে, তা সে জীবিত হোক বা মৃত। বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। বাঘটিকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বন দফতর সেটিকে খাঁচা পেতে, টোপ দিয়ে এবং ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করে ধরার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

বনাধিকারিক প্রমোদ জি কৃষ্ণণ জানিয়েছেন, জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ সংস্থার নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। তাই প্রথমে ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করেই বাঘটিকে বাগে আনার চেষ্টা হচ্ছে। সব কিছু ব্যর্থ হলে তবেই ‘দেখামাত্র গুলি’ করার পথ নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement