CRPF

জেল সামলাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তা

পঞ্জাবের জেল পরিচালনায় থাকেন পঞ্জাব পুলিশের আধিকারিকরা। তাঁরা ডেপুটেশনে কারা দফতরের কাজে যোগ দেন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেল পরিচালনার কাজ যথেষ্ট 'ঝঞ্ঝাটে'র। আর তা সামলাতে প্রয়োজন বিশেষ দক্ষতার। তাই জেল সুপার পদে কাজ করতে অনীহা অনেক পুলিশ আধিকারিকের। আর সে কারণে পুলিশের পরিবর্তে সুপার পদে দেখা যেতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের। ঘটনাস্থল পঞ্জাব।

Advertisement

জেলকে বরাবরই একটু 'বাঁকা' চোখে দেখেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন। বন্দিদের তো বটেই! এমনকি, কর্মী-আধিকারিকদের সম্পর্কে একটু ভিন্ন মত পোষণ করা হয়, তা নিয়ে অনুযোগ-আক্ষেপ রয়েছে কাশ্মীর থেকে কর্নাটক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ থেকে পঞ্জাব - বিভিন্ন জেল আধিকারিকদের।

পঞ্জাবের জেল পরিচালনায় থাকেন পঞ্জাব পুলিশের আধিকারিকরা। তাঁরা ডেপুটেশনে কারা দফতরের কাজে যোগ দেন। সেই আধিকারিকরা আর জেলের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাইছেন না, তেমনই খবর পঞ্জাবের কারা দফতর সূত্রে। বারবার করে অনুরোধ করা হলেও তা নিয়ে আগ্রহ দেখাছেন না পুলিশ আধিকারিকরা। ফলে রাজ্যের দশ-বারোটি জেল সুপার পদ শূন্য রয়েছে। আর সেই সব জেলে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসাবে সেই কাজ করছেন জুনিয়র আধিকারিকরা।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল জেল সুপার পদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী (সিআরপিএফ) থেকে আধিকারিক চাইল পঞ্জাব সরকার। তাতে সাড়া দিয়ে ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার আট-দশজন আধিকারিকের নাম অমরেন্দ্র সিংহ সরকারের কাছে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখান থেকে নাম বেছে নেবে পঞ্জাব সরকার।

কেন এই 'অনীহা'? জেল পরিচালনায় থাকা অনেক আধিকারিকদের মতে, নিয়মকানুনকে মান্যতা দিয়ে জেল চালাতে গেলে নানা দিক থেকে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে সিনিয়র আধিকারিকরা ঠিকমতো 'সাহায্য' করেন না। আর ইচ্ছা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অহেতুক নালিশও করা হয় বলে অনুযোগ তাঁদের। সেই নালিশ করায় বন্দিরা তো বটেই। দফতরের কোনও কোনও কর্মী-আধিকারিকদের ভূমিকাও প্রশ্নাতীত নয়।

কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন? পঞ্জাব কারা প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেকের মতে, যাঁরা জেল পরিচালনার কাজ সামলেছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেকে জেলের কাজ করতে চান না। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী আধিকারিকদের নিয়ে তেমন সমস্যা তুলনায় কম। একইসঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে কপুরথালা, বঠিন্ডা, অমৃতসর, লুধিয়ানা জেলে দেওয়াল পাহারায় কাজ শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। চলতি বছরের গোড়ায় সেই তালিকায় সংযোজিত হয় পাতিয়ালা সেন্ট্রাল জেল এবং নাভা জেলও। প্রত্যেক জেলে রয়েছে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে জওয়ানদের সঙ্গে তালমিল রেখে কাজ করতে সুবিধা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের।

বঙ্গের জেলেও কর্মী-আধিকারিকদের শূন্য পদ রয়েছে। সঙ্গে জেলের কর্মী-আধিকারিকদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কখনও কখনও মাথাচাড়া দেয়। সেই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, অভিযোগ-অনুযোগকে সঙ্গী করে জেল সামলাচ্ছেন কর্মী-আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement