এক ছাত্র ও ঊর্দ্ধতন সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে সিআরপিএফ-এর হাবিলদার অমলকুমার দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
১৬ জুলাই, নলবাড়ি জেলার টিহুকে পৃথক মহকুমা ঘোষণার দাবিতে আসু এবং মহকুমার প্রস্তুত পরিষদের সদস্য-সমর্থকরা পথ অবরোধ করছিলেন। অবরোধ শেষে অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃগেশকুমার বরুয়া প্রতিবাদকারীদের থেকে স্মারকলিপি নিচ্ছিলেন। অভিযোগ, সে সময় আচমকাই অমলবাবু তাঁর একে-৪৭ রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই নিহত হন এএসআই দিব্যচন্দ্র বরদলৈ ও নবম শ্রেণির ছাত্র হিমাংশু তামুলি। ওই ঘটনায় চার জওয়ান, দুই সাংবাদিক, এক আসু কর্মী এবং আরও একাধিক ব্যক্তি জখম হন।
মৃগেশবাবু ঝাঁপিয়ে পড়ে অমল দাসকে মাটিতে পেড়ে ফেলেন। অমলবাবুর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষিপ্ত জনতা। গণপ্রহারের জখম অমলবাবুকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সোমবার রাতে অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার নলবাড়ি জেলা আদালত অমলবাবুকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
ঘটনার পিছনে মহিলাঘটিত কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এসপি বেদান্তমাধব রাজখোয়ার দাবি, তদন্তে তেমন কোনও কথা সামনে আসেনি। প্রাথমিক ভাবে এক মহিলাকে জেরার জন্য আটক করা হলেও দেখা গিয়েছে অমল দাস ও ওই মহিলা একে অপরকে চেনেন না। তাই মহিলাঘটিত কারণ সেখানে ছিল না। কেন ওই জওয়ান হঠাৎ গুলি চালালেন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের জেরায় অমল বার বার বলেছেন, নিহত এএসআই তাঁকে বারে বারে অপদস্থ করতেন, সমস্যায় ফেলতেন। তাই মাথা গরম করে গুলি চালিয়ে দেন তিনি। এসপির বক্তব্য, অমলবাবুর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। মনে হচ্ছে তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। জেল কর্তৃপক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দ্বারা অমলবাবুকে পরীক্ষা করাতে পারেন।