উপচে পড়া গঙ্গার জলে ভাসছে হরিদ্বার। ছবি— পিটিআই।
গঙ্গা উপচে পড়ছে। আর সেই সুযোগে চলে আসছে কুমির। ভাসতে ভাসতে ঢুকে পড়ছে ঘরবাড়িতে। বন্যার পাশাপাশি এখন নয়া সমস্যায় নাজেহাল হরিদ্বারের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই শহর থেকে একাধিক কুমির ধরেছে বন দফতর। নদীতে জল না কমলে সমস্যার সমাধান হবে কী করে, বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
হরিদ্বারের বিভাগীয় বনাধিকারিক নীরজ বর্মা বলেন, ‘‘অতিবৃষ্টির জেরে নদী উপচে পড়ছে। এর ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, একাধিক কুমির সাঁতরে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি চলে আসছে। শেষ ১৫ দিনে আমরা অন্তত ১০টি কুমির ধরেছি বিভিন্ন জায়গা থেকে। অনেক ক্ষেত্রে কুমির বাড়ির ভিতরে ঢুকে বসেছিল।’’
হরিদ্বারের লাকসর, খানপুর এবং রুরকি এলাকায় অনেকগুলি কুমিরকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। এতে আশঙ্কিত সাধারণ মানুষ। খানপুর গ্রামের প্রাক্তন প্রধান নরেশ কুমার বলেন, ‘‘১৫ জুলাই সোলানি নদীর জল বাড়ার ফলে একটি কুমির গ্রামের হরিজন বস্তির এক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই পরিবারটিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হয়। বন দফতর এসে কুমিরটি নিয়ে যাওয়ার পর শান্তি।’’
হরিদ্বার জেলার খেরি মুবারকপুর এলাকার বাসিন্দা অজিত মাভি বলেন, ‘‘১৪ জুলাই রাতে আমার বাড়ির খুব কাছে একটি ১০ ফুটের কুমির দেখতে পাই। পরের দিন কুমিরটিকে ফাঁদে ফেলে ধরা হয়।’’ অজিতের দাবি, ময়লা ফেলে ফেলে গ্রামের একটি পুকুর প্রায় ভরাট হওয়ার অবস্থা। বংশবৃদ্ধিতে এ রকম জায়গাই পছন্দ কুমিরদের। গ্রামে কুমিরের আনাগোনার পিছনে একেই কারণ বলে মানছেন অজিত।
হরিদ্বারের রেঞ্জ অফিসার দীনেশ নাউদিয়াল বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা একটি ২০ সদস্যের ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ তৈরি করেছি। এর আগে এ রকমই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সাপ নিয়ে। সেই সময় দৈনিক ১২ থেকে ১৫টি করে সাপ ধরা পড়ছিল।’’