BBC Documentary Controversy

সরকারের সমালোচনা মানেই দেশের অখণ্ডতা লঙ্ঘন? তথ্যচিত্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারীরা

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার পটভূমিতে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া-দি মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক জারি রয়েছে। শুরু থেকেই তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০০
Share:

বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি ৬ ফেব্রুয়ারি। ফাইল ছবি।

বিবিসি-র ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র দেশের যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার মামলাটি শুনতে রাজি হল শীর্ষ আদালত। আগামী সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে।

Advertisement

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তথ্যচিত্র সরিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী এমএল শর্মা। একই বিষয়ে পৃথক মামলা করেন সাংবাদিক এন রাম, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ‘সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার’ অভিযোগ তুলেছেন।

২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার পটভূমিতে তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক। মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকার বা তার নীতির সমালোচনা করা মানেই দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা নয়।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমহা এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে।

বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র টুইটার কিংবা গুগলের নানা মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মামলায় টুইটার এবং গুগলের ভারতীয় সংস্থাকেও যুক্ত করেছেন মামলাকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধানে দেশের নাগরিকদের যে বাক্‌স্বাধীনতা স্বীকার করা হয়েছে, সরকারের এই পদক্ষেপ তাতে বাধা দিচ্ছে।

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী সময়ে গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘ইন্ডিয়া—দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement