প্রতীকী চিত্র।
দাদার বাইকে চেপে গ্রামে ফিরছিলেন ১৮ বছরের তরুণী। পথে তিন নাবালক সহ সাতজন পথ আটকায় তাঁদের। ওই তরুণীর ভাইকে নিকটস্থ কুয়োতে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। তার পর গণধর্ষণ করে ওই তরুণীকে। লকডাউনের মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। বৃহস্পতিবার ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় তিন নাবালক সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জনের নাম শুভম বেলে(২২) ও সন্দীপ খাটিয়া (২৩)। লোকেশ সোনি(২২) ও পবন বেলে(২৪) নামের দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। কোতয়ালির থানার অফিসার রাজেন্দ্র ধ্রুবে জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে আটটার সময় দাদার বাইকে চেপে ফিরছিলেন ওই তরুণী। তখনই ঘটে ওই ঘটনা। রাত দু’টো পর্যন্ত ওই তরুণীর উপর অভিযুক্তরা নির্যাতন চালায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্তদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে দাদাকে কুয়ো থেকে তোলেন ওই নির্যাতিতা। তার পর বৃহস্পতিবার ভোরে নিজেদের গ্রামে পৌঁছন তাঁরা। সে দিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(ধর্ষণ), ৩৬৫(অপহরণ) ও ৩০৭(হত্যার চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: জালন্ধরের পর এ বার সহারানপুর থেকে দেখা গেল বরফ ঢাকা হিমালয়
লকডাউনের মধ্যেই একাধিক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। এর আগে ছ’বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে চোখ খুঁচিয়ে দিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। তার আগে নিজের ফ্ল্যাটে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ৫৩ বছরের এক মহিলা ব্যাঙ্ক কর্মী।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে সবচেয়ে কম, এপ্রিলে মনরেগায় কর্মসংস্থান মাত্র ৩০ লক্ষের