মাটিতে ভেঙে পড়েছে দৈত্যাকার ক্রেন। ছবি: এএফপি
শিপ ইয়ার্ডে কাজ চলাকালীন শ্রমিকদের মাথার উপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল ক্রেন। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ১১ জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বিশাখাপত্তনমের হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ড লিমিটেডে। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রেন কতটা ভার বহন করতে পারবে তারই পরীক্ষা চলছিল শিপইয়ার্ডে। ঠিক সেই মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে ওই ক্রেনটি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশাখাপত্তনম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৪ জন ওই শিপ ইয়ার্ডের স্থায়ী কর্মী। বাকিরা চুক্তিভিত্তিক। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে ১১ জন মারা গিয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই বিশাল আকৃতির ক্রেনটি কী ভাবে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে। সেই সময় তার নীচে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। আচমকা এমনটা ঘটে যাওয়ায় অনেকেই নিজেকে সরাতে পারেননি। ক্রেন চাপা পড়েই তাঁদের মৃত্যু হয়।
ধ্বংসস্তূপে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএফপি
আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা আইন ‘মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী’! চ্যালেঞ্জ করে মামলা সুপ্রিম কোর্টে
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিশাখাপত্তনম জেলা প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। অন্ধ্রের উপকূলবর্তী শহর বিশাখাপত্তমের হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণ, মেরামতি, সাবমেরিন তৈরির কাজও হয়। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিশাখাপত্তনম। মাস তিনেক আগে উপকূলবর্তী ওই শহরেই এলজি পলিমার্স কারখানা থেকে গ্যাস লিক করে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েক জনের মৃত্যু হয়। গত জুলাইতে সেখানকার একটি কারখানাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এ বার ক্রেন ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়ে ৫৭ হাজার, ফের দশ শতাংশ ছাড়াল সংক্রমণ হার