Remdesivir

ওষুধ মজুতে মোদী-রাজ্যের বিজেপি নেতা?

দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তেই হাহাকার দেখা দিয়েছে রেমডিসিভির ওষুধের। দেশীয় চাহিদা মেটাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিদেশে রফতানি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪৬
Share:

— ছবি সংগৃহীত

দেশে যখন করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডিসিভির ওষুধের অভাব, তখন গুজরাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সি আর পাটিল ফি দিন পাঁচ হাজার রেমডিসিভির বিতরণ করার ঘোষণা করে বিতর্কে জড়ালেন। দেশে চাহিদা সত্ত্বেও এত রেমডিসিভির তাঁর কাছে কোথা থেকে এল, সেই প্রশ্নের জবাব এড়াতে ব্যস্ত গুজরাতের বিজেপি সরকার।

Advertisement

দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তেই হাহাকার দেখা দিয়েছে রেমডিসিভির ওষুধের। দেশীয় চাহিদা মেটাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিদেশে রফতানি। পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে দশ গুণ দামে, তখন গুজরাতের বিজেপি সভাপতি পাটিল অবশ্য তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। সুরাতের ওই নেতার দাবি, তিনি প্রতিদিন পাঁচ হাজার করে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন বিতরণ করবেন বলে ঠিক করেছেন। গুজরাত স্বাস্থ্য দফতর যখন রেমডিসিভিরের অভাবে মাথা খুঁড়ছে, ওই ওষুধের জোগান স্বাভাবিক করতে তিন লক্ষের বেশি রেমডিসিভির বরাত দিয়েছে, তখন বিজেপি নেতা পাটিল কোথা থেকে এত বিপুল রেমডিসিভির জোগাড় করলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই সরকারের কাছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানীর কথায়, ‘‘পাটিলকেই প্রশ্ন করুন।’’

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ওই জবাবের ভিত্তিতে গুজরাতের একটি সংবাদপত্র ওষুধের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সি আর পাটিলের মোবাইল নম্বর ছাপিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক আরও বেড়ে গিয়েছে। স্বভাবতই প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে নিজের দলের রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে রেমডিসিভিরের মতো জীবনদায়ী ওষুধের মজুতদারিতে জড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

করোনার সংক্রমণ পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রেমডিসিভির ব্যবহৃত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় দেশে সংক্রমণ বাড়তেই রেমডিসিভিরের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে বিদেশে ওই ওষুধ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দিল্লিতে কালোবাজারে প্রথম দফা সংক্রমণের সময়ে পাঁচ হাজার টাকার রেমডিসিভির বিক্রি হয়েছিল লক্ষাধিক টাকায়। এ দফায় দাম প্রায় পঞ্চাশ হাজার ছুঁইছুঁই। তাও ওষুধ পাচ্ছে না মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দু দিন আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পাটিল ঘোষণা করেন, যাদের প্রয়োজন রয়েছে তাদের তিনি ফি দিন পাঁচ হাজার করে রেমডিসিভির বিতরণ করবেন। প্রশ্ন হল গোটা দেশে যেখানে ওষুধ বাড়ন্ত, সেখানে কী ভাবে ওই নেতা ফি দিন পাঁচ হাজার করে ওষুধ বিতরণ করতে পারেন? কত ওষুধ রয়েছে তাঁর কাছে? গুজরাতের কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোদওয়াদিয়ার কথায়, দেশে রেমডিসিভিরের যে কালোবাজারি চলছে, তার পিছনে বিজেপির ওই নেতার কী ভূমিকা রয়েছে, তার তদন্ত হওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement