সম্প্রতি এসডিএমসি ওই মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বৈধ লাইসেন্স চায়। তা না পাওয়ায় তার কিছু দিন পরেই একটি নোটিস দিয়ে বাজারে মাছের দোকানগুলি বন্ধের নির্দেশ দেয় পুরনিগম। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, নোটিসে যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছে, ‘বৈধ লাইসেন্স না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থতির জন্য’ এই মাছ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
ফাইল ছবি
দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের (এসডিএমসি) আচমকা নোটিসে অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে রাজধানীর ‘মিনি কলকাতা’ চিত্তরঞ্জন পার্কের মাছ বাজার।
সম্প্রতি এসডিএমসি ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বৈধ লাইসেন্স চায়। তা না পাওয়ায় তার কিছু দিন পরেই একটি নোটিস দিয়ে বাজারে মাছের দোকানগুলি বন্ধের নির্দেশ দেয় পুরনিগম। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, নোটিসে যুক্তি হিসাবে বলা হয়েছে, ‘বৈধ লাইসেন্স না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থতির জন্য’ এই মাছ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
হঠাৎ এই নোটিসে দিশাহারা স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নির্মল হাজরার(৭২) কথায়,‘‘আগে আমি সাইকেল নিয়ে এই এলাকায় ফেরি করে বেড়াতাম। দেখেছি কী ভাবে ২০০ বাড়ি থেকে কলোনির পরিধি বৃদ্ধি হয়েছে। চোখের সামনেই এই বাজারকেও বড় হতে দেখেছি। আমি বুঝতে পারছি না হঠাৎ কেন আমাদের এই নোটিস দেওয়া হল।’’
ব্যবসায়ীদের দাবি ২০০৩ সালে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) চিত্তরঞ্জন মার্কেট মাছ বিক্রির এই প্লাটফর্মটি তৈরি করে এবং সেখানে বসার জন্য বৈধ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ল্যান্ড এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস।
কেন এই নির্দেশ, তার একটি কারণ হিসাবে এডিএমসি-র এক আধিকারিকের যুক্তি, ‘‘মাংসের দোকানের জন্য বাজারের ভিতরে বসার লাইসেন্স দেওয়া হয়। কারণ মাংস খোলা জায়গায় কাটা যায় না। অন্য দিকে মাছ খোলা জায়গা বিক্রি করা যায়। কলকাতা-সহ দেশের অন্যান্য বাজারগুলি রাস্তার ধারে বসেই মাছ বিক্রি করা হয়। তাই আলাদা জায়গার কী প্রয়োজন।’’
আধিকারিক আরও বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের বলা হয় তাঁদের জন্য মাছ বাজারে বরাদ্দ জায়গার নথি দেখাতে। কিন্তু তাঁরা তা কেউ দেখাতে পারেননি। তাঁদের উত্তরের ভিত্তিতে আমরা এসডিএমসি-র সদর দফতরকে এই সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তন বা পরিকাঠামোর বদল আনার কথা বলেছি।’’
এই বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিঠি পাঠিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গর্ভনরকে। একই সঙ্গে চিঠি পাঠানো হয়েছে কাউন্সিলর সুভাষ ভাদানা এবং দক্ষিণ অঞ্চলের জেলা প্রশাসককে।
এক ব্যবসায়ী জানান, তাঁদের কাছে যে নথি আছে তাতে কোথাও লেখা নেই মাছ বিক্রি করার জন্য ওই জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে এসডিএমসি যে তথ্য চাইছে তা দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্রেতারাও চাইছেন মাছ বাজার যেখানে আছে সেখানেই থাকুক। গ্রেটার কৈলাস -২ এর বাসিন্দা নীরা বসুর কথায়, ‘‘ব্যবসায়ীদের উচিত আইনি লড়াই শুরু করা। কারণ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা ওখানে ব্যবসা করছেন, হঠাৎ কী করে তাঁদের বেআইনি ঘোষণা করতে পারে এসডিএমসি।’’