প্রতীকী ছবি।
ভোটের পরে জোট গড়ে ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল অভিন্ন ন্যূনতম পরিকল্পনা। তার ভিত্তিতেই ইউপিএ-১ সরকারকে সমর্থন করেছিল বামেরা। এ বার প্রাক্-নির্বাচনী বিকল্প নীতির খসড়াকে সামনে রেখেই বিজেপি-র বিরুদ্ধে বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে চায় তারা।
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে আসন লাভের নিরিখে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। আবার হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-র সাফল্যের মাঝেও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে সিপিএম। বিধানসভার ওই ফলাফলের পরেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, দেশের রাজনাতির বর্তমান অবস্থায় সম্ভাব্য ব্যাপকতম ঐক্যই বিজেপি-কে মোকাবিলার উপযুক্ত পথ। আর মানুষের জন্য নেতার চেয়েও বেশি জরুরি বিকল্প নীতি। গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করার কথা বহু দিন ধরেই বলছেন বাম নেতারা। কিন্তু বিকল্প নীতিকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তোলার ইঙ্গিত এ বার তাঁরা দিতে শুরু করেছেন। কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য নেতা সুকোমল সেনের স্মরণসভায় সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন ইয়েচুরি। পরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ব্যাপকতম ঐক্যের মধ্যে কংগ্রেসকেও তাঁরা ধরছেন কি না? স্বভাবতই কংগ্রেসের জন্য দরজা বন্ধ করেননি ইয়েচুরি। জানিয়েছেন, বিকল্প নীতিকে সমর্থন করতে কংগ্রেস রাজি থাকলে তারা অবশ্যই এই বৃত্তে থাকবে।
সবং বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও এ দিন বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দেশ জু়ড়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। কেরল, ত্রিপুরার মতো বাম-শাসিত রাজ্যে গেরুয়া আক্রমণ সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। আবার অন্য অনেক রাজ্যে যেখানে বামেরা শক্তিশালী নয়, কংগ্রেস সেখানে এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সূর্যবাবুর কথায়, ‘‘বিরাট দেশ। একা লড়াই করা যায় না। ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শক্তি যেখানে যারা আছে, তাদের পাশে নিতে হবে।’’