অসম রাইফেলস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মন্তব্য নিয়ে ত্রিপুরায় শাসক সিপিএম ও বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মণ আজ সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জনসমক্ষে পেশ করা হয়নি।
সুদীপবাবুর প্রশ্ন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আধা সামরিক বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে পারে। তা হলে কেন মানিক সরকারকে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হবে না?’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে রাজ্য সরকার মানিকবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করুক। এ সবের কোনওটিই না হলে, মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে চিহ্নিত করবে প্রদেশ কংগ্রেস।
সম্প্রতি এক নির্বাচনি প্রচারসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অভিযোগ তোলেন, ২০০০ সালে ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) ভোটে অসম রাইফেলসের তত্কালীন ব্রিগেডিয়ার বি কে পানোয়ারের নেতৃত্বে ওই বাহিনী জঙ্গি ও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আঁতাত গড়ে বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যূত করেছিল।
বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোনও দিনও মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেননি। এখন হঠাত্ এই অভিযোগ তুলছেন কেন?’’
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা দলের মুখ্যপাত্র গৌতম দাস এ দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘২০০০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সরকারি ভাবে বি কে পানোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাঁকে ত্রিপুরা থেকে সরিয়ে দেয়।’’ অসম রাইফেলসের সঙ্গে জঙ্গিদের আঁতাতের কী তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে— এই প্রশ্ন তোলেন সুদীপবাবু। প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, ত্রিপুরায় কোনও নির্বাচন এলেই জঙ্গিদের সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে শাসক দল।