সিপিআই-এর মতো সিপিএম-এরও জাতীয় দলের তকমা নিয়ে টানাটানি পড়তে হত। প্রতীকী ছবি।
ভাগ্যিস তামিলনাড়ু ছিল! না হলে সিপিআই-এর মতো সিপিএম-এরও জাতীয় দলের তকমা নিয়ে টানাটানি পড়ত। সিপিএম-এর অন্দরে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয় এটাই।
নির্বাচন কমিশন সিপিআই-এর জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নিয়েছে। আর সিপিএম জাতীয় দলের মর্যাদা ধরে রাখার তিনটি শর্তের মধ্যে শুধুমাত্র একটি শর্ত পূরণ করতে পেরে টিকে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ত্রিপুরা— তিন বাম দুর্গের সঙ্গে তামিলনাড়ুতেও সিপিএম রাজ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। লোকসভায় সিপিএম-এর তিন সাংসদের মধ্যে একজন কেরলের। বাংলা, ত্রিপুরা থেকে সিপিএম-এর কোনও সাংসদ নেই। বাকি দু’জনই তামিলনাড়ুর। চারটি রাজ্যে রাজ্য দলের মর্যাদা রয়েছে বলেই সিপিএম জাতীয় দল হিসেবে টিকে রয়েছে। লোকসভায় মোট আসনের ২ শতাংশ বা তিনটি রাজ্য থেকে ১১টি আসন জেতা এবং লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে অন্তত ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট লোকসভায় ন্যূনতম ৪টি আসন জেতা— জাতীয় দল হওয়ার অন্য দুই শর্ত সিপিএম পূরণ করতে পারেনি। মুখরক্ষা করেছে তামিলনাড়ু। আপাতত ২০২৯ পর্যন্ত সিপিএম নেতারা তাই নিশ্চিন্ত।