কর্নাটকে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে সিপিআই। — ফাইল ছবি।
বাংলায় আনুষ্ঠানিক জোট হয়েছে বাম, কংগ্রেসের। বাংলার পর এ বার কর্নাটকেও বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে ঠেকাতে চায় কংগ্রেস। এই প্রয়াসে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। রবিরা, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালার ঘোষণা, কর্নাটকের অন্তত ২১৫টি আসনে সিপিআই নিঃশর্ত সমর্থন করবে কংগ্রেস প্রার্থীদের। তবে কিছু আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইও হবে বাম ও কংগ্রেসের।
কর্নাটকে বিজেপিকে হারাতে হাত মেলাল কংগ্রেস এবং সিপিআই। রবিবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ বলেন, ‘‘আমরা সিপিআইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। সিপিআই এখনও পর্যন্ত ৭ জন প্রার্থী দিয়েছে। আরও কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাদের। আমাদের আবেদনের পর সিপিআই জানিয়ে দিয়েছে, ওই ৭টি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। বাকি ২১৫টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদেরই সমর্থন করবেন সিপিআই কর্মী, সমর্থকেরা। ওই আসনগুলিতে সিপিআই কর্মী, সমর্থকেরা সর্বান্তকরণে কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ের জন্য লড়াই করবেন। এ জন্য কোনও প্রত্যাশা তাঁরা রাখছেন না। বিজেপিকে হারাতে তাঁরা আমাদের পাশে থাকছেন।’’
সূরযেওয়ালা সিপিআইয়ের কথা বললেও সিপিএম সম্পর্কে এখনও কোনও বার্তা দেননি। বামপন্থীরাও আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসকে কর্নাটকে সমর্থন করার কথা এখনও ঘোষণা করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, কর্নাটকে সিপিআইয়ের পাশাপাশি সিপিএমের সমর্থনও পেতে পারে কংগ্রেস। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কর্নাটকের বেশ কিছু শহুরে এলাকায় বামপন্থীদের প্রভাব আছে।
বিদায়ী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগকে তুলে ধরে কর্নাটকে বদলের আবেদন করছে কংগ্রেস। এই আবহে বামপন্থীদের পাশে পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কংগ্রেস। কারণ, জনমানসে বামপন্থী নেতাদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন। ইভিএমে তার প্রভাব কতটা, সেটাই এখন দেখার।