উত্তরপ্রদেশের পুর নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে গরুর জন্য শীতে চটের তৈরি কোট কিনবে তারা।—ফাইল চিত্র।
বাংলার গ্রামে হাড়কাঁপানো শীতের রাতে গরুর গায়ে চট জড়িয়ে দেন গৃহস্থ। আর উত্তরপ্রদেশের ‘রাম-রাজ্য’ অযোধ্যার পুরসভা গরুদের পরাচ্ছে ‘রেডিমেড’ কোট। সেখানকার পুর নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন গোশালার বাসিন্দাদের জন্য শীতে চটের তৈরি কোট কিনবে তারা।
শুধু চটের কোট যদিও নয়! সে খসখসে কোট শুধু ষাঁড়েদের জন্য। গোমাতাদের কোটে চট ছাড়াও থাকবে কাপড়। আর বাছুরদের জন্য একেবারে তিন-স্তরের কাপড় দেওয়া স্পেশাল কোট। অযোধ্যা নগর নিগমের কমিশনার নীরজ শুক্ল জানাচ্ছেন, দর্জিদের তাঁরা বলেছেন, বাছুরদের কোটের একেবারে ভেতরে যেন নরম কাপড় দেওয়া হয়। হোক না গরু, মানুষ তো! তাই ছেলেদের আর মেয়েদের কোটের ডিজাইনের তফাৎ আছে। কমিশনার বলছেন, ‘‘কোটগুলো গরুর গায়ে আলগা না-রেখে সেলাই করে দেওয়ার কথা ভাবছি, কারণ তা না-হলে খুলে পড়ে যাবে।’’
বৈসিংহপুরের গোশালা দিয়ে তিন-চারটি ধাপে চালু হচ্ছে এই ‘কোট-প্রকল্প’। ওই গোশালায় প্রায় ১২০০ গরু, যার মধ্যে ৭০০টি ষাঁড়। বাকি গরু ও বাছুর। এর মধ্যে ১০০টি গরু-বাছুরের জন্য কোটের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কোট-পিছু দাম পড়ছে ২৫০-৩০০ টাকা। প্রথম ‘লট’ এসে যাবে এ মাসেই।
তার পর জাঁকিয়ে শীত পড়লে আরও ব্যবস্থা আছে। গোশালায় আগুন জ্বালানো হবে। মাটিতে পাতা থাকবে খড়ের গদি। গো-পরিবারের কারও যদি আগুন পোহাতে বা মাটিতে গড়িয়ে নিতে ইচ্ছে হয়, তার বন্দোবস্ত। মেয়র হৃষীকেশ উপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য গরুদের পরিচর্যা। গোশালাগুলোকে রাজ্যের সেরা করে তুলব আমরা।’’ রাজনৈতিক বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, গরুর কোট কেনা ভাল কথা। তবে শীতকালে খোলা রাস্তায় রাত কাটাতে বাধ্য হওয়া হতদরিদ্র পরিবারগুলোর কথা ভাবলেও ভাল করতেন যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের এই কর্তারা।