ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের মধ্যেই দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের সবাইকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৩.৫ শতাংশ কোনও টিকাই পাননি বলে জানিয়েছে কোউইন পোর্টাল।
২৬ জুলাই, সোমবার পর্যন্ত কোউইন পোর্টালের তথ্য জানাচ্ছে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ দু’টি টিকা পেয়েছেন। মোট ৯৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ একটি টিকা পেয়েছেন। ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৪৩ কোটি ৬০ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে দেশে। যদিও পড়শি দেশ ভুটান জানিয়েছে, সেখানে ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্কদের ৮৪ শতাংশকে করোনার দু’টি টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অবশ্য ভুটানের জনসংখ্যা ভারতের থেকে অনেক কম। সুতরাং সেখানে দ্রুত টিকা দেওয়া অনেক সহজ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
গত সপ্তাহে দৈনিক গড় টিকাকরণ হয়েছে ৪০ লক্ষ ১০ হাজার, যা অনেকটাই কম। জুনের শেষ সপ্তাহে দৈনিক গড় টিকাকরণ হয়েছিল ৬০ লক্ষ ৪০ হাজার। তবে দৈনিক টিকাকরণে রেকর্ড হয়েছিল গত ২১ জুন। সে দিন টিকা দেওয়া হয়েছিল ৮০ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে।
টিকার আকাল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে একাধিক রাজ্য। এমনকি মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ কিছু রাজ্যে অনেক শিবিরে টিকাকরণ বন্ধও করে দেওয়া হয়। যদিও তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, টিকার কোনও অভাব নেই। প্রতিটি রাজ্যকে পর্যাপ্ত টিকা পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যেই টিকাকরণের পুরো দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, টিকাকরণের গতি বাড়াতে না পারলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তার পরেও দেশে টিকাকরণের গতি এখনও অনেকটাই কম বলেই অভিযোগ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোউইন পোর্টালের সাম্প্রতিক তথ্য তাঁদের অভিযোগকেই সমর্থন করে।