—ফাইল চিত্র
এক দফা আশ্বাস দিয়েছিলেন গত কালই। আজ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠকে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা ফের জানিয়ে দিলেন, গত কালের অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের তৈরি টিকার কোনও ক্ষতি হয়নি।
পুণেতে সিরামের প্রতিষেধক কারখানার ‘মঞ্জরি’ কমপ্লেক্সের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আগুন লেগে গত কাল পুড়ে মারা যান ৫ জন ঠিকা শ্রমিক। আজ পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘ওটা একেবারে আনকোরা নতুন একটা ভবন। ভবিষ্যতে সেখানে বিসিজি এবং রোটাভাইরাসের টিকা তৈরি হওয়ার কথা ছিল। এখন ওখানে কোনও টিকা তৈরি হচ্ছে না। তাই কোনও টিকারই ক্ষতি হয়নি।’’ করোনার টিকা কোভিশিল্ড যে জায়গায় তৈরি এবং মজুত রাখা হচ্ছে, আগুন সেখানে কোনও ক্ষতি করতে পারেনি বলে স্পষ্ট করে দেন পুনাওয়ালা। তবে আগুনে ১০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের যন্ত্রপাতি ও জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিটা মূলত আর্থিক। তবে মজুত ভাণ্ডারের ক্ষতি হয়নি।’’ তবে অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিসিজি ও রোটাভাইরাসের টিকার উৎপাদন কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন সিরাম কর্তৃপক্ষ।
করোনা-যুদ্ধের অন্যতম প্রধান ভরসা সিরামের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গত কাল থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এ ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি ছিল কি না উদ্ধবকে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত শেষ হওয়ার আগে মন্তব্য করা যাবে না। তার পরেই বলতে পারব গাফিলতি বা অন্য কিছু ছিল কি না।’’ সিরামের আগুনের নেপথ্যে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছিলেন কেউ কেউ। আজ এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আজ কিছু বলা উচিত হবে না। বিজ্ঞানীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্নই নেই। এটা একটা দুর্ঘটনা।’’
পুণে পুরসভা, পুণে শহরাঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং মহারাষ্ট্র শিল্পোন্নয়ন নিগম একযোগে তদন্তে নেমেছে। তদন্তকারী দলে রয়েছেন দমকল বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। পুড়ে মৃত্যু ও অগ্নিকাণ্ডের একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ডিসিপি (জ়োন ৫) নম্রতা পাটিল বলেন, ‘‘তদন্তকারী সমস্ত সংস্থার পাওয়া সূত্রের ভিত্তিতেই বোঝা সম্ভব হবে, আগুন কী ভাবে লেগেছিল।’’ ফরেন্সিক দল আজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে।