কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনুসুখ মাণ্ডবিয়া। ফাইল চিত্র।
বেড়েছে পরীক্ষা। তাই সংক্রমিতের সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে ভারতে। দৈনন্দিন সংক্রমণের গ্রাফের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও পরিস্থিতি আদৌও উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনুসুখ মাণ্ডবিয়া। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আজ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। আগামী কয়েক মাসে দেশে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি যাতে না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার উপরে জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি আজ সরকারি ভাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে চিন, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করার পরেই ভারতগামী বিমানে চড়তে পারবেন।
খুব ধীর গতিতে হলেও, দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনার রোগী। গতকাল দেশে যেখানে ১৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন আজ সেই সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২৬৭-তে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব রাজ্যই পরীক্ষা বাড়িয়েছে। সেই কারণে করোনা রোগীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে। দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডবিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে আগামী কয়েক মাসে করোনাভাইরাস যদি ফের বিপুল ভাবে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য যাতে দেশে ওষুধের কোনও ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করতে আজ ওষুধ প্রস্ততকারক সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, আজকের বৈঠকে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছে কোভিড সংক্রান্ত চিকিৎসার প্রশ্নে কী পরিমাণে ওষুধ মজুদ রয়েছে, সে বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোভিড সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের কাঁচামালে কোনও ঘাটতি না দেখা দেয়, ওষুধের কালোবাজারি যাতে না হয় সে দিকেও নজর দেওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ওষুধ সংস্থাগুলির সাপ্লাই চেন বা সরবরাহ ব্যবস্থা সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। দেশের সূদূরতম প্রান্তেও যাতে সুষ্ঠু ভাবে ওষুধের সরবরাহ হয়, তা নিশ্চিত করার উপরে জোর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ দিকে আজ কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে চিন, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইল্যান্ডের মতো ছ’টি দেশ থেকে আসা ভারতে আসা যাত্রীদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডবিয়া জানিয়েছেন, ‘‘ওই ছয় দেশ আসা যাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল যদি নেগেটিভ আসে তা হলে সেই রিপোর্ট ‘এয়ার সুবিধা’ পোর্টালে আপলোড করার পরেই তাঁরা এ দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারবেন।’’
আজ উত্তরাখণ্ডে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে মাস্ক পরা আবশ্যিক করা হয়েছে। রাজ্যের স্কুলশিক্ষার ডিরেক্টর জেনারেল বংশীধর তিওয়ারি জানিয়েছেন, শিক্ষক, পড়ুয়া এবং স্কুলের সমস্ত কর্মীকে এই বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্কের পাশাপাশি আবশ্যিক করা হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিংও। এর আগে কর্নাটকের স্কুলেও আবশ্যিক করা হয়েছে মাস্ক।