এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রায়ই আধার ও প্যান কার্ডের তথ্যের অপব্যবহারের খবর পাওয়া যায়। সরকারি পরিচয়পত্র ও বিভিন্ন নথি থেকে পাওয়া তথ্যের সাহায্যে নানা প্রতারণার ফাঁদও পাতে সাইবার অপরাধীরা। এ বার এমনই এক নথির সূত্র ধরে ২০ বছর আগের অপরাধীর সন্ধান পেল পুলিশ! গত সপ্তাহেই কোভিড টিকার তথ্যের ভিত্তিতে গুজরাতের সুরাতে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিনোদকুমার শর্মা। প্রৌঢ় বিনোদ আগরার একটি মুদি দোকানের মালিক। গত সপ্তাহে সাদা পোশাকে এক দল পুলিশ তাঁর দোকানে পৌঁছয়। গল্পের ছলে শুরু হয় একের পর এক প্রশ্ন। তিনি কে, কোথায় বাড়ি, কত দিন ধরে আগরায় রয়েছেন ইত্যাদি। এর পরে এক পর্যায়ে প্রশ্নকর্তা জানতে চান, তিনিই কি সেই বিনোদ, যিনি ২০ বছর আগে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছিলেন? তখনই প্রৌঢ় বুঝতে পারেন, ধরা পড়ে গিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কী ভাবে ২০ বছর পর তাঁর সন্ধান পেল পুলিশ? উত্তরে সুরাত পুলিশ জানিয়েছে, কোভিড টিকার সূত্র ধরেই ওই প্রৌঢ়ের খোঁজ মিলেছে। সম্প্রতি সুরাত পুলিশকে বেশ কয়েক বছরের পুরনো কয়েকটি অমীমাংসিত মামলার তালিকা দেওয়া হয়। তালিকায় ছিল বিনোদের স্ত্রী ঊর্মিলার খুনের মামলাটিও। ফের শুরু হয় তদন্ত। বিনোদের খোঁজে তাঁর জন্মস্থান আগরায় পৌঁছয় পুলিশ। বিনোদের কোনও ফোন কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ছিল না বৈধ ঠিকানাও। তাই আগরা থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় তদন্তকারীদের। এর পর বিনোদ-রহস্যের কিনারা করতে কোভিড টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের নথি ঘাঁটতে শুরু করে পুলিশ। তখনই খোঁজ মেলে চিত্রা বিনোদ শর্মা নামে এক মহিলার, যিনি ঘটনাচক্রে বিনোদের দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই সন্তানও রয়েছে ওই দম্পতির। আরও জানা যায়, আগরায় তাঁর নামে একটি মুদি দোকান রয়েছে। এর পরেই ২০ বছর পর বিনোদের নাগাল পায় পুলিশ।
২০০৪ সালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করেছিলেন বিনোদ। ওই খুনের ২০ বছর পর শেষমেশ শনিবার সুরাত পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানোর পর হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।