ফাইল ছবি।
ভারতে অতিমারি পরিস্থিতি যখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে তখন নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ। দেশের একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু করোনার প্রতিষেধকগুলি কি আদৌ করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপের মোকাবিলা করতে সক্ষম? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অনেকের মধ্যেই। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে চলতি টিকাগুলি কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে তা নিয়ে মঙ্গলবার এক বণিকসভার অনুষ্ঠানে সংশয় প্রকাশ করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল।
নীতি আয়োগের পাশাপাশি ভি কে পল ভারতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য। টিকা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘চলতি যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে টিকাগুলির কার্যকারিতা কমতে পারে। ওমিক্রনের সঙ্গে তিন সপ্তাহ কাটানোর পর আমরা দেখলাম বেশ কিছু ধন্দ তৈরি হয়েছে। কিছু টিকা হয়তো নতুন এই রূপের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। কিন্তু ছবিটা এখনও পরিষ্কার নয়।’’
এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ নিয়ে বিকল্প উপায়ের কথাও বলেছেন পল। করোনার রূপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকার পরিবর্তনও পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘‘করোনার এক নতুন রূপের হদিশ পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে প্রতিষেধকে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে তৈরি থাকতে হবে। তবে তা যে তিন মাস অন্তর পরিবর্তন করতে হবে এমনটা নয়। কিন্তু বছরে এক বার সেই পরিবর্তন করতে হতেই পারে।’’
দেশে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আগে থেকেই দাবি উঠছে, করোনা মোকাবিলায় বুস্টার টিকা চালু করুক কেন্দ্র। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখনই বুস্টার টিকা চালু করার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। কেন্দ্রের লক্ষ্য প্রতিটি দেশবাসী যেন টিকার দু’টি টিকা পান তা নিশ্চিত করা। আদালতে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, প্রতিষেধক প্রদানের জন্য গঠিত সরকারের দু’টি বিশেষজ্ঞ কমিটি এখনও বুস্টার টিকা দেওয়া নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি।