Coronavirus in India

মহারাষ্ট্রে কি করোনার নয়া রূপেই লাগামহীন সংক্রমণ? জানতে শুরু হল বিশেষ পরীক্ষা

করোনাভাইরাসের ওই নতুন রূপটির জিনোম পরীক্ষার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই সব পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:৩২
Share:

করোনাভাইরাস। -প্রতীকী ছবি।

মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাস তার রূপ বদলেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। মনে করা হচ্ছে, তার নতুন জিনগত পরিবর্তন বা একটি মিউটেশন হয়েছে। করোনার সেই নতুন রূপে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। তবে করোনার এই নতুন রূপটির আচার, আচরণ এখনও সম্পূর্ণ বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। জানা যায়নি কতটা দ্রুত গতিতে বা কতটা ধীরে মানুষকে সংক্রমিত করে। মহারাষ্ট্রের মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক টিপি লাহানে এ কথা জানিয়েছেন। এ-ও বলেছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে হদিশ মেলা করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি ভাইরাসের আরও একটি প্রকার বা স্ট্রেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। মানুষকে সংক্রমিত করার ক্ষেত্রে এর ক্ষমতা কতটা তা বোঝার জন্য করোনাভাইরাসের গোটা জিনোমের পরীক্ষা আরও ভাল ভাবে করতে হবে। তাই আরও সময় লাগবে এই নতুন রূপটিকে চিনতে, বুঝতে।’’

Advertisement

সেই সময়টা কত দিন? লাহানে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের ওই নতুন রূপটির জিনোম পরীক্ষার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই সব পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। তখনই কিছুটা বোঝা সম্ভব হবে, কত তাড়াতাড়ি বা কতটা ধীরে তা মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে।

ঘটনাচক্রে, দেশে মহারাষ্ট্রেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তাই এ ব্যাপারে করোনার এই নতুন রূপটির কোনও অবদান রয়েছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা যথেষ্টই কৌতূহলী, জানিয়েছেন লাহানে। চিন্তা আরও বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণে হঠাৎ রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা। খবর আসছে, করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিক নেতা, মন্ত্রী। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজেশ তোপে টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি করোনা আক্রান্ত। করোনায় কাবু হওয়ার খবর একে একে লিখেছেন জয়ন্ত পাতিল, একনাথ খাড়সে, রক্ষা খাড়সে, রাজেন্দ্র সিঙ্গনে-র মতো নেতা মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবারই সেখানে ৫ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে মুম্বইয়ে শুধু ৭০০ জন নতুন সংক্রমিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহারাষ্ট্রে যে হারে সংক্রমণ হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে, তার প্রভাবেই ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।

Advertisement

নতুন দু’টি প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা। জিন সিকোয়েন্সিং-এর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন প্রজাতি ধরা পড়েছে ৪ ভারতীয়র দেহে এবং ব্রাজিল প্রজাতি এক জনের দেহে ধরা পড়েছে। এই দুই প্রজাতি ভারতে ঢুকে পড়ায় ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তার উপর নতুন করে চিন্তা মহারাষ্ট্র নিয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement