প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে লাগানো হচ্ছে। গত এক বছরে করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে বলে সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বিতর্ক সভায় জানালেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
সোমবার এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি আন্তর্জাতিক বিতর্কসভায় যোগ দিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব। ওই সভায় তিনি বলেন, শিশুদের সন্ত্রাস ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে কারণ তাদের সহজে ভুল বোঝানো যায়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সতর্ক করে শ্রিংলা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুল বন্ধ।
ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
দিনের অনেকটা সময় তারা ঘরবন্দি হয়ে কাটাচ্ছে। এই সুযোগে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে তাঁদের মনযোগ আকর্ষণ করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। শিশুদের মগজধোলাই করছে তারা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, ‘‘দরকার পড়লে সরকারের এ সব বিষয়ে নজরদারিও চালানো উচিত। করোনা পরিস্থিতির অন্যান্য পরিকল্পনার মতোই শিশুদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’’
আলোচনার বিষয় ছিল সশস্ত্র সংঘর্ষে শিশুরা। সে প্রসঙ্গেই শিশুদের সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করা নিয়ে কথা বলেন শ্রিংলা। এ বিষয়ে মহাত্মা গাঁধীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘গাঁধী বলেছিলেন, আমরা যদি সত্যিই শান্তি চেয়ে থাকি, আমরা যদি যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাই, তবে শুরুটা দেশের শিশুদের দিয়েই করতে হবে। যদি আমরা তাদের স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে পারি, তবে কিছু নিষ্ফলা প্রশাসনিক প্রস্তাবের পিছনে আমাদের অকারণ সময় ব্যয় করতে হবে না।’’
শ্রিংলার এই প্রস্তাবে এক বাক্যে সায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্যদেশগুলি।