প্রতীকী ছবি।
শিশুদের জন্য তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) চূড়ান্ত ফল জানা যেতে পারে সেপ্টেম্বরে। শনিবার এ কথা জানিয়েছেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস’(এমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ২ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের উপর দ্বিতীয় টিকাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।’’
প্রথম ভারতীয় কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’ শিশুদের জন্য যে টিকা তৈরি করছে, গত ৭ জুন থেকে তার পরীক্ষা শুরু হয়েছে এমস-এর তত্ত্বাবধানে। এমস প্রধান জানিয়েছেন, ২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু ও কিশোরদের উপর তিনটি পর্যায়ে টিকার প্রভাব পরীক্ষার পর সেটি ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। গত ১২ মে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারাল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র তরফে কোভ্যাক্সিনের নয়া সংষ্করণকে শিশুদের উপর প্রথম ধাপের পরীক্ষার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
কোভ্যাক্সিন ছাড়াও অক্সফোর্ড-সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র তৈরি শিশুদের ভারতীয় কোভিড-১৯ টিকা নোভাভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও চলছে দেশে। চলছে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি শিশুদের টিকা পরীক্ষাও। এমস সূত্রের খবর, তিনটি ধাপে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন বয়সের মোট ১৭৫ জন শিশুকে বেছে নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণের কাজ শুরু করার উদ্দেশ্যে দ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টও প্রকাশ করা হতে পারে।
গুলেরিয়া এর আগে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিন শিশুদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করছে। প্রসঙ্গত, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির (এনআইভি) সাহায্য নিয়ে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক।