প্রতীকী ছবি।
ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন উৎপাদনের আনুমানিক খরচ সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর। তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) একটি প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি)-র সহায়তায় কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (বিবিআইএল)। প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, কোভ্যাক্সিনের গবেষণা, পরীক্ষা এবং উৎপাদনের জন্য মোট ৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে আইসিএমআর।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী টিকা বিক্রির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ আইসিএমআর পাবে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। আরটিআই-প্রশ্নের উত্তরে আইসিএমআর কর্তৃপক্ষ ৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা মেনে নিলেও টিকার গবেষণা ও উৎপাদনের খরচ জানাতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ভারতে চালু তিনটি টিকার মধ্যে কোভ্যাক্সিনই সবচেয়ে দামি। কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া দর অনুযায়ী অক্সফোর্ড-‘সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’-য় তৈরি কোভিশিল্ডের প্রতিটি টিকার দাম ৭৮০ টাকার বেশি হবে না। রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ভি-এর সর্বোচ্চ দাম হবে টিকা প্রতি ১,১৪৫ টাকা। অন্য দিকে কোভ্যাক্সিনের সর্বোচ্চ দাম হবে ১,৪১০ টাকা (১৫০ টাকা জিএসটি)। বস্তুত, বিদেশের বাজারে ফাইজারের টিকা যে দামে বিক্রি হচ্ছে, ভারত বায়োটেকের টিকার দাম তার কাছাকাছি। বিশ্বের তৃতীয় দামি করোনা টিকা হল কোভ্যাক্সিন।