দু’রকমের টিকার রশিদ হাতে স্থানীয়রা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
টিকাকরণের তালিকায় একেবারে নীচে জায়গা হয়েছে রাজ্যের। তার পরেও করোনার টিকা নিয়ে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছবি উঠে এল উত্তরপ্রদেশ থেকে। সেখানে একটি গ্রামের কমপক্ষে ২০ জন বাসিন্দাকে ২ বার ২ রকমের টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবে ‘চোখ এড়িয়ে গিয়েছে’ বলে সাফাই দেওয়ায়, বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে।
লখনউ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন সিদ্ধার্থনগর জেলার একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের গোড়ায় সেখানে প্রথম টিকা দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। তার এক মাসের মাথায়, গত ১৪ মে দ্বিতীয় টিকা নিতে যান সকলে। কিন্তু প্রথম বার কোভিশিল্ড দেওয়া হলেও, দ্বিতীয় বার তাঁদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কমপক্ষে ২০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে সিদ্ধার্থনগরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমও) সন্দীপ চৌধরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, চোখ এড়িয়ে গিয়েছে বিষয়টি। ২ টিকার ককটেল দেওয়া নিয়ে সরকারের তরফে কোনও নির্দেশিকা নেই। তাই চোখ এড়িয়েই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তার রিপোর্টও হাতে পেয়ে গিয়েছি। কাদের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’
২টি আলাদা টিকার ককটেল নিলেও, টিকাপ্রাপ্তদের কারও শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি বলে দাবি করেন সন্দীপ। তিনি বলেন, ‘‘ভুলবশত যাঁদের ২ রকম টিকা দেওয়া হয়েছে, আমাদের একটি দল তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করেছে। সকলেই সুস্থ আছেন। কারও শরীরে কোনও সমস্যা নেই।’’
তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকের এই দাবি খারিজ করেছেন গ্রামবাসীরা। রাম সুরপত নামের এক প্রবীণ ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর থেকে কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেননি। আমি তো প্রথমে বুঝতেই পারিনি। অসুস্থ বোধ করায় ডাক্তারের কাছে যাই। তিনিই বলেন, টিকা নিতে গিয়েই গন্ডগোল হয়েছে। তার পর রশিদ মেলাতে গিয়ে দেখি ২ বার ২ রকমের টিকা দিয়েছে আমাকে।’’ টিকাকেন্দ্রে চরম অব্যবস্থার অভিযোগও তোলেন তিনি।