প্রতীকী ছবি- এএপপি।
হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রচণ্ড গরম। তাই সেখানে ভর্তি এক রোগীর পরিবারের লোক এয়ার কুলার এনেছিলেন। ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে সেখানে চালু করেন এয়ার কুলার। এর আধ ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় ৪০ বছরের ওই ব্যক্তির। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটছে রাস্থানের কোটার সরকারি হাসপাতালে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৩ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মহারাও ভীম সিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৪০ বছরের ওই ব্যক্তিকে। তখন প্রথমে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে থাকা অন্যান্য রোগীদের করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ১৫ জুন তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
সেই আইসোলেশন ওয়ার্ড বাতানুকুল ছিল না। তাই ওই ব্যক্তির আত্মীয়রা সেখানে একটি এয়ার কুলার নিয়ে আসেন। কিন্তু কুলার লাগানোর প্লাগ খুঁজে পাননি তাঁরা। তখন ওই ব্যক্তির ভেন্টিলেটর যে প্লাগে গোজা ছিল, তা খুলে দেন ও কুলারের প্লাগ লাগান তাঁরা। প্লাগ খোলার পর আধ ঘণ্টা মতো চলেছিল ভেন্টিলেটরটি। কিন্তু তার পর বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক, দেশে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ছুঁইছুঁই
এর পরই সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের খবর দেন ওই রোগীর আত্মীয়রা। কিন্তু তাঁরা এসেও বাঁচাতে পারেননি ওই ব্যক্তিকে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ঘটনায় সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ওই ব্যক্তির পরিবারের লোক তদন্তের জন্য কমিটিকে সাহায্য করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এয়ার কুলার লাগানোর জন্য রোগীর পরিবার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতিও নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: ৩০০ চিনা সেনার বিরুদ্ধে একা লড়াই! কিংবদন্তি হয়ে ঘোরে এই বীর যোদ্ধার কথা