ফাইল চিত্র।
করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে দেশের সেনাবাহিনী। এ ব্যাপারে সেনা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের অনুরোধ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রাজনাথের মত, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থাকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উচিত তাদের সবরকম পরিকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে দেশবাসীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির প্রয়োজনীয়তা জানতে সেনাবাহিনীকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দশ, দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুক সেনাবাহিনী। তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী যাবতীয় সাহায্য করুক।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নানারকম আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির এই গুরুতর পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে তাদের চিকিৎসা পরিকাঠামোজনিত অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সাধারণের জন্য খুলে দিতে অনুরোধ করেছেন রাজনাথ।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবারই সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণের সঙ্গে কথা হয়েছে রাজনাথের। প্রতিরক্ষা সচিব এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজনাথ। সূত্রের খবর, তিন শীর্ষ পদাধিকারীকেই তিনি বলেছেন, তাঁদের সামর্থ অনুযায়ী যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেশবাসীর সুবিধার্থে অবারিত করে দিতে।
রাজনাথের এই নির্দেশ পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দিল্লিতে ডিআরডিও-র ৫০০ বেডের হাসপাতাল খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য। দেশের ৬৭টি ক্য়ান্টনমেন্ট বোর্ড হাসাপাতালকে সাধারণের চিকিৎসার জন্য খুলে দিতে নির্দেশ জারি করেছেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার। এ ছাড়া খুব শীঘ্রই লখনউয়ে আরও দু’টি হাসপাতাল সাধারণের চিকিৎসার জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই মুহূ্র্ত দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমনের হার উত্তর প্রদেশে। ডিআরডিও জানিয়েছে, তারা ১৫০টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারকে। পরে লখনউ হাসপাতালের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১০০০টি অতিরিক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিআরডিও।