করোনাভাউরাসের আতঙ্কের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে হয়ে গেল হাই প্রোফাইল বিয়ে। বিয়ে করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি নিখিল কুমারস্বামী। তিনি এক জন অভিনেতা তথা রাজনীতিক। বিয়ে করলেন কংগ্রেস নেতা এম কৃষ্ণাপ্পার আত্মীয়া রেবতীকে।
বেঙ্গালুরু থেকে ২৮ কিমি দূরে রামনগরে একটি ফার্ম হাউজে শুক্রবার সকালে হল বিয়ের অনুষ্ঠান। যা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে মাস্ক বা করোনা সংক্রান্ত অন্য সতর্কতার কোনও চিহ্নই নেই।
নিখিলের বাবা, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর দাবি, নিকট আত্মীয়দের বাইরে আর কোনও অতিথি বিয়ের আসরে ছিলেন না।
সনাতনী সব রীতিনীতি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের সামনে মালাবদল করেন বর-কনে। দেশ জুড়ে লকডাউন চললেও বিয়ের তারিখ পিছোতে রাজি হননি কুমারস্বামী।
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বেঙ্গালুরুকে ইতিমধ্যেই রেড জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠান সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয় রামনগরে।
জনতা দল সেকুলার-এর নেতা কুমারস্বামী একটি ভিডিয়ো-বার্তায় দলীয় কর্মীদের কাছে আবেদন করেন, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে। তবে তাঁর প্রতিশ্রুতি, পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ৬০-৭০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন বলে দাবি কুমারস্বামীর। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী অশ্বত্থ নারায়ণ জানিয়েছেন, বিয়েতে করোনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পালিত না হলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
উপমুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, এর আগে কুমারস্বামী জানিয়েছিলেন এই বিয়েতে করোনা সংক্রান্ত সব নিয়ম ও সতর্কতা পালিত হবে। তার পরেও এক জন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি কী করে এ রকম কাজ করতে পারলেন! বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অশ্বত্থ নারায়ণ।
নিখিল-রেবতীর বিয়ের সব ছবি ও ভিডিয়ো খুঁটিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে কর্নাটক সরকারের তরফে।
প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরুতে এখনও অবধি ৩১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সেই পরিস্থিতিতে সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিদের পরিবারে বিয়ের অনুষ্ঠান সব মহলে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। (ছবি: ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার)