—প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞানীদের দেওয়া নাম বি.১.৬১৭। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ‘ভারতীয় রূপ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে নতুন প্রজাতিটি। যদিও এমন নামকরণে আপত্তি তুলেছে ভারত। বুধবার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বিবৃতিতে ভারতীয় শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি, ‘হু’-এর তরফে কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতির ভাইরাসকে কোনও নির্দিষ্ট দেশের নামে চিহ্নিত করার পক্ষপাতী নয়’। ভারতের এই দাবি সমর্থন করেছে ‘হু’-ও।
‘হু’ মঙ্গলবার জানিয়েছিল, গত বছর অক্টোবর মাসে ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল করোনাভাইরাসের এই প্রজাতিটি। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের অন্তত ৪৪টি দেশে। তবে ‘হু’-এর ওই ৩২ পাতার নথিতে কোথাও ‘ভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি বলে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
‘হু’-এর তরফেও বুধবার ‘ভারতীয় ভাইরাস’ বিতর্ক নিয়ে একটি টুইট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা কখনওই কোনও ভাইরাস যে দেশে প্রথম পাওয়া গিয়েছে, তার নামে নামকরণ করি না। আমরা সব সময়ই ভাইরাসকে বিজ্ঞানভিত্তিক নামে চিহ্নিত করি, এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে সকলকেই সেই পদ্ধতি অনুসরণের সুপারিশ করি’।
দু’দফার জিনগত চরিত্র বদলের কারণে বি.১.৬১৭ ভাইরাসটিকে ‘দ্বি-পরিব্যক্ত’ (ডাবল মিউট্যান্ট) হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘হু’। হু-এর প্রযুক্তিগত প্রধান চিকিৎসক মারিয়া ভন কারখোভ কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানের উদ্দেশ্যে এই প্রজাতির ভাইরাসকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’-এর তালিকাভুক্ত করার কথাও জানিয়েছিলেন।