টিকাকরণ সংগৃহীত
কোভিডের দ্বিতীয় ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে শয্যা, চিকিৎসার সর়ঞ্জাম এবং অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুমিছিল চলছে দেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হতেই টিকার ঘাটতি আরও প্রকট হয়েছে। দিল্লির হাতে আর ১ দিন চালানোর মতোই কোভ্যাক্সিন অবশিষ্ট রয়েছে। কোভিশিল্ড যা রয়েছে, তাতে হাতে গুণে দিন চারেক চলতে পারে। এর মধ্যে টিকার সরবরাহ না হলে থমকে যাবে টিকাকরণ, জানালেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
রবিবার পর্যন্ত দিল্লির কাছে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৬০টি ডোজ ছিল ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের দেওয়ার জন্য। বাকি কেন্দ্রের তরফে যা পাঠানো হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর্মী এবং কোভিড-যুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, বরাদ্দ ডোজের ৭০ শতাংশ তাঁদের জন্যই রেখে দিতে হবে, যাঁরা ১টি ডোজ পেয়েছেন।
সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, দিল্লির দেড় কোটি নাগরিকের জন্য ৩ কোটি টিকার প্রয়োজন। তা সরবরাহ করা হলে ৩ মাসের মধ্যেই টিকাকরণ শেষ করা সম্ভব সেখানে। বলেন, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষ টিকা এসেছে। আরও ২.৫ কোটি ডোজ প্রয়োজন।