করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে রাতে কোনও চিকিত্সক থাকেন কি না, সেই প্রশ্নের জবাব তলব করল আদালত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিন দিনের মধ্যে তার উত্তর দিতে বলেছে করিমগঞ্জের এসিজেএম আদালত। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৈনা গ্রামের বাসিন্দা মাম্পি দেবনাথের মৃত্যু সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ, ১৬ মার্চ আসন্নপ্রসবা মাম্পিদেবীকে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাতে মাম্পিদেবীর পেটে ব্যথা বাড়তে থাকলে কর্তব্যরত নার্সরা প্রসূতি চিকিত্সক শান্তনু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই চিকিৎসকই মাম্পিদেবীকে দেখতেন। অভিযোগ, সেই রাতে তিনি হাসপাতালে যাননি। বাধ্য হয়ে নার্সরা ওই মহিলার প্রসব করান। তাঁর স্বামী রাতুল দেবনাথের অভিযোগ, চিকিত্সার গাফিলতিতে তুলো, ব্যান্ডেজ মাম্পিদেবীর পেটের ভিতরেই থেকে গিয়েছিল। তার জেরে মাম্পিদেবীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়। সন্তান প্রসবের ২০দিন পর শিলচরের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এ নিয়ে করিমগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তার কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি।
এর পরই ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জের আদালতে মামলা দায়ের করেন মাম্পিদেবীর স্বামী রাতুলবাবু।