সীমা হায়দর এবং তাঁর স্বামী সচিন মীণা। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তান থেকে প্রেমের টানে পালিয়ে আসা বধূ সীমা হায়দার এবং তাঁর বর্তমান স্বামী সচিনের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হল সম্প্রতি। অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সেই আনন্দের মাঝে বিষাদ বয়ে আনল আদালতের নোটিস। সীমা-সচিনের বিয়ে দিয়েছিলেন যে পুরোহিত এ বার তাঁকে নোটিস দিয়ে তলব করেছে আদালত। শুধু ওই পুরোহিতই নন, তাঁদের আইনজীবীকেও নোটিস দিয়েছে আলাদত। আগামী ২৭ এপ্রিল আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
সীমা এবং সচিনের বিয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দার। এই বিয়েকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানান উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের এক পরিবার আদালতে। গুলামের আইনজীবী মোমিন মালিক জানিয়েছেন, আদালত তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সীমা, সচিন, তাঁদের আইনজীবী এপি সিংহ, পুরোহিত এবং তাঁদের বিয়েতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সকলকেই আগামী ২৫ মে হাজির হতে হবে। যদি তাঁরা হাজির না হন, তা হলে একতরফা শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত।
পাকিস্তান থেকে ভারতে আসতে পারেন সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম। এমনই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী মোমিন। তিনি আরও জানিয়েছেন, নথি অনুযায়ী আজও গুলামের স্ত্রী সীমা। এই দাবি এবং বেশ কিছু প্রমাণ নিয়েই ভারতে আসছেন গুলাম। এই প্রথম নয়, এর আগেও সীমা এবং সচিনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন গুলাম। এ ছাড়াও তাঁদের আইনজীবীকে ৫ কোটি টাকার আইনি নোটিসও পাঠান গুলাম।