আদালতে আপাতত স্বস্তি সিরাম ইনস্টিটিউটের। —ফাইল চিত্র।
ট্রেডমার্ক বিতর্কে স্বস্তি পেল সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের নাম নিয়ে ট্রেডমার্ক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুণের দায়রা আদালত। অভিযোগটিতে অনেক গলদ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে কিউটিস-বায়োটেক নামের চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থা। আদালতে তারা জানায়, ঢের আগে থেকেই কোভিশিল্ড নামটি ব্যবহার করছে তারা। তাই নামটির উপর তাদেরই মালিকানা। সে ক্ষেত্রে সিরাম ইনস্টিটিউটের উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হোক, যাতে কোভিশিল্ড বা ওই ধরনের কোনও নাম নিজেদের তৈরি কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের জন্য ব্যবহার করতে না পারে তারা।
কিউটিস বায়োটেকের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাম ইনস্টিটিউট। আদালতে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে তারা জানায়, চরিত্রগত ভাবে দুই সংস্থা একেবারেই আলাদা। তাদের তৈরি পণ্যও আলাদা। তাই নাম নিয়ে ধন্দ তৈরি হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
শেষ পর্যন্ত সিরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষেই রায় দেয় আদালতের। আদালত জানায়, কিউটিস বায়োটেকের অভিযোগে অনেক গলদ রয়েছে। তারা অনেক তথ্য গোপন করছে বলেও জানিয়েছে আদালত। তবে নিম্ন আদালতের রায় বিপক্ষে গেলেও, বিষয়টি নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কিউটিস বায়োটেক।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় ভারতে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড এনেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। জুনের মধ্যে আরও একটি প্রতিষেধক নিয়ে আসার কথা রয়েছে তাদের।