—প্রতীকী ছবি।
অনুভূতি ছিল একতরফা। তবুও জোর করে তরুণের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। চাকরিহীন অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন তরুণ। বিয়ের প্রায় দু’বছর কেটে যাওয়ার পরেও কোনও চাকরি পাননি তিনি। সংসারেও নিত্য অশান্তি। সহ্য করতে না পেরে পারিবারিক আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে ঘটেছে।
আদালত সূত্রে খবর, স্বামী বেকার থাকার কারণে সংসার চালাতে পারছেন না এমনটাই দাবি তরুণীর। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ইনদওরের পারিবারিক আদালতে এই মামলা দ্বারস্থ হলে জানা যায়, তরুণের প্রতি একতরফা অনুভূতি ছিল তরুণীর।
তরুণের দাবি, মেয়ের পরিবারের তরফে জোর করায় ২০২২ সালে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন দু’জনে। তরুণের আরও দাবি, বিয়ে করার আগে আপত্তিও জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও দিতে পারেননি তিনি। বিয়ের পর নিত্যদিন তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তরুণের।
বর্তমানে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন তরুণী। আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি মাসে স্বামীকে পাঁচ হাজার টাকা হাতখরচ হিসাবে দিতে হবে তরুণীকে। পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে তরুণীকেই। তরুণ যত দিন চাকরি না পাচ্ছেন, তত দিন তরুণীর কাছ থেকে হাতখরচ পাবেন বলে আদালতের নির্দেশ।