মেজর লিতুল গগৈ। ফাইল চিত্র।
মেজর লিতুল গগৈয়ের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শেষ হল রবিবার। ২০১৭-য় কাশ্মীরের বদগামে এক কাশ্মীরি যুবককে গাড়ির বনেটে বেঁধে গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়েছিলেন তিনি। বদগামের সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল তাঁর নাম। প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সেই ঘটনায়। বিভাগীয় তদন্তের পর তাঁর কোর্ট মার্শাল হয়। এ দিনই ছিল সেই প্রক্রিয়ার শেষ দিন।
সেনা সূত্রে খবর, শ্রীনগরের একটি হোটেলের ঘটনা গলার কাঁটা হয়ে রইল মেজরের। ২০১৮-র মে-তে জম্মু-কাশ্মীরের কর্তব্যরত থাকাকালীন অনলাইনে স্থানীয় একটি হোটেলের ঘর বুক করেন মেজর। সেই হোটেলে ওঠার পর এক তরুণী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু হোটেল কর্মীরা তাঁকে মেজরের ঘরে ঢুকতে বাধা দেন। এর পরই হোটেল কর্মীদের উপর চড়াও হন মেজর। তাঁদের মারধর করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে মেজরের বিরুদ্ধে। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে গগৈ, তাঁর গাড়ির চালক আর তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সেই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে মেজরের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলে। যদিও মেজরের দাবি ছিল, ওই মহিলা তাঁর সোর্স ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে হোটেলে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শেষে বিচারে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে সেনা আদালত। সেনা সূত্রে খবর, মানব ঢালের ঘটনার পাশাপাশি হোটেলের ঘটনা নিয়েও তদন্ত চলছিল। মানবঢালের ঘটনার ক্ষেত্রে কোর্ট মার্শাল হয় মেজরের। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, হোটেলের এই ঘটনার জন্যই মেজরের পদোন্নতি আটকে যেতে পারে। তবে যে র্যাঙ্কে তিনি রয়েছেন সেই পদেই তিনি বহাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: নির্দেশিকার পরেও কেন নীরব মামলায় লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল সত্যব্রতকে, উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি নগদ, বিদেশে হলিডে প্যাকেজ! প্রার্থীকে জেতাতে অফার