দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ সংক্রান্ত মামলায় গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব গতকালই জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির কপি প্রকাশ করতে বাধ্য নয় তাঁর অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি এই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে চার সপ্তাহের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে, এত সহজে দমছেন না কেজরীওয়াল।
এ প্রসঙ্গে আজ কেজরীওয়াল বলেছেন, ‘‘হাই কোর্টের রায়ে বহু প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই তাঁর প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার।’’ কেজরীওয়ালের কটাক্ষ, ‘‘গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করতে চাইছে না, তার সম্ভাব্য দু’টি কারণ রয়েছে। হয়, প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যকে তারা ভয় পায় অথবা ওই ডিগ্রি ভুয়ো।’’
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে নানা মহলে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল দিল্লি এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির প্রতিলিপি চেয়েও না-পেয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন প্রধানমন্ত্রীর দফতর, গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পর্কে তথ্য তলব করে। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ওই সব তথ্য প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন করে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়। মামলায় গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এই দাবি জনস্বার্থে নয়। প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার জন্য বিশেষ ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। বিচারপতি বৈষ্ণব সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য মেনে জানিয়ে দেন, মোদীর পরীক্ষায় পাশের কাগজপত্র দেখাতে হবে না বিশ্ববিদ্যালয়কে।
বিচারপতি বৈষ্ণব বলেছেন, ‘‘মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জনসমক্ষে রয়েছে। তবু তার প্রমাণ চেয়ে জোরাজুরি করছেন কেজরীওয়াল। যাতে তাঁর আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে।’’
বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এ দিন বলেছেন, ‘‘নানা দুর্নীতিতে দিল্লির কেজরীওয়াল সরকারের অনেক মন্ত্রী এখন জেলে। সেই হতাশা থেকে এ সব করছেন উনি।’’