ফাইল চিত্র।
মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের জন্মভূমির অধিকার এবং সেখানে অবস্থিত মসজিদের অপসারণ চেয়ে দায়ের করা মামলা গৃহীত হল আদালতে। শুক্রবার মথুরা জেলা আদালতের বিচারক সাধনা রানি মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
মথুরার আদালতে ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান’-এর নামে দায়ের হওয়া দেওয়ানি মামলার মূল দাবি, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’-র ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং সেখানে অবস্থিত সপ্তদশ শতকের শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানো। শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলা করেছেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী ও ছ’জন ভক্ত। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে দেশে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র বদলানোর উপরে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রেখে দিতে হবে। কোনও আদালত এই বিষয়ে আর্জি শুনতেও পারবে না।
এই পরিস্থিতিতে আদৌ শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের নামে মামলা আদালতে গৃহীত হতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। গত বুধবার থেকে জেলা আদালতে এই নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আবেদনকারী পক্ষের দাবি মেনে নিয়েছে জেলা আদালত।
আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি, এটি নিছক ধর্মস্থানের চরিত্র বদলানোর অভিযোগ নয়। জমির অধিকার সংক্রান্ত জালিয়াতির প্রশ্ন। তাঁদের আইনজীবী আদালতকে জানান, ১৯৬৮-র ১২ অক্টোবর শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সঙ্ঘের সঙ্গে শাহি মসজিদ ইদগাহ পরিচালন কমিটির বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইদগাহকে জমি ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে জমির উপর সেবা সঙ্ঘের অধিকারই ছিল না। ব্রিটিশ জমানায় ওই জমি বারাণসীর রাজা পাটনি মল নিলামে কিনে নিয়েছিলেন। পরে তা পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য ও অন্যান্যরা কিনে মন্দির তৈরির ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন।
গত মাসে মথুরা নগর দেওয়ানি আদালতের বিচারক ছায়া শর্মা আবেদনকারী পক্ষের এই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তকে জেলা আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েও মিছিলে গরহাজির শুভ্রাংশু, রয়ে গেল জল্পনা
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর চার দিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে
অযোধ্যা রামমন্দির আন্দোলনের সময়ই গেরুয়া বাহিনী আওয়াজ তুলেছিল, ‘ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’। রামমন্দিরের শিলান্যাসের পরে সেই রব আরও জোরালো হয়েছে। রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ, বিনয় কাটিয়ার ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের লাগোয়া ইদগাহের জমি হিন্দুদের। তার দখল নিতে হবে। দরকার হলে নতুন করে আন্দোলনও হবে।