সোমবার আদালতের রায় ঘোষণার পর কুলদীপ সেঙ্গার।পিটিআই
২০১৭ সালে উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে দোষী প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের সাজার মেয়াদ ঘোষণার শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করল দিল্লির আদালত। নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওযার জন্য, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় সেঙ্গারের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৭ সালে উন্নাওয়ে নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার সোমবার দোষী সাব্যস্ত হন। ধর্ষণ, ভয় দেখানো-সহ শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন বিরোধী পকসো আইনেরএকাধিক ধারায় বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে দিল্লির তিসহাজারি আদালত দোষী ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার সেঙ্গারের সাজার মেয়াদের শুনানি শুরু হলে সিবিআই কৌঁসুলি অশোক ভারতেন্দু সর্বোচ্চ সাজার জন্যে আবেদন জানান। উল্টো দিকে সেঙ্গারের তরফের আইনজীবী তনভীর মীর চার বারের বিধায়কের সমাজসেবামূলক কাজকর্মের দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। সাজা কমানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য তিহাড় জেলে থাকার সময় সেঙ্গারের ভদ্রস্থ আচরণের কথাও তোলেন মীর।
তিসহাজারি আদালতের বিচারক এ দিন জানান, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যে সেঙ্গারের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখা দরকার। সেই জন্যই আগামী ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২টায় সাজার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রদোহের দায়ে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের ফাঁসির আদেশ
আরও পড়ুন:লাইভ: যাদবপুর থেকে মিছিলে অসংখ্য মানুষ, মমতার পাশে মিমি-নুসরতেরা
২০১৭ সালে উন্নাওয়ের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সেই সময় উত্তরপ্রদেশের বাঙ্গেরমউ কেন্দ্রের চার বারের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার ও শশী সিংহের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল শশী সিংহই নামের ওই মহিলাই তাঁকে কানপুর নিয়ে গিয়েছিল। সেই মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কিছু দিনের মধ্যেই বিজেপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পুলিশের চার্জশিটের ভিত্তিতে পকসো আইনে ১২০বি (ষড়যন্ত্র), ৩৬৩ (অপহরণ) ৩৬৬ (অপহরণ ও বিবাহের জন্য বাধ্য করা) ৩৭৬ (ধর্ষণ)-সহ একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে আদালত। বিস্তর জলঘোলার পরে অবশেষে সোমবারই সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিসহাজারি আদালতের বিচারক ধর্মেশ শর্মা। অন্য অভিযুক্ত শশী সিংহকে বেকসুর খালাস করে আদালত।