বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক নাবালিকার। আর সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল মেয়েটির পরিবারের। বাড়ির লোকের কথা না শোনায় ওই নাবালিকা আর তাঁর প্রেমিককে পিটিয়ে মারল জনতা। সঙ্গে ছিল মেয়েটির পরিবারের লোকজনও। দু’জনকে মেরে ফেলার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য মেয়েটির পরিবারের লোকজন দেহ দু’টি পুড়িয়ে দেয়। কাল রাতে এই ঘটনা ঘটেছে গয়া জেলার ওয়াজিরগঞ্জ থানার আমেথা গ্রামে।
ওই যুবকের পরিবার মেয়েটির বাবা, কাকা, কাকিমা-সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। মেয়েটির দুই কাকিমাকে আজ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বছর পঁচিশের জয় রামের সঙ্গে ১৬ বছরের ওই নাবালিকার সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েক মাস আগেই। জয় রামের বাড়ি আমেথা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কাশিয়ারডিহি গ্রামে। তিন সন্তানের বাবা জয় রাম কাল ওই কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেই মতো গয়া জেলার পাহাড়পুর স্টেশনে তাঁরা দু’জন পৌঁছিয়েও যান। কিন্তু খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয় মেয়ের বাবা, কাকা, আত্মীয়-সহ জনা পনেরো গ্রামবাসী। দু’জনকে পাকড়াও করে নিয়ে যাওয়া মেয়েটির গ্রাম আমেথায়। ঘটনার কথা চাউর হওয়ার পরে গ্রামের কেউ কেউ পঞ্চায়েত ডাকার পরামর্শ দিলে মেয়েটির আত্মীয়রা সে কথা শুনতে চায়নি।
এর পরই ওই কিশোরীর আত্মীয়রা দু’জনকে মারতে শুরু করে। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। প্রমাণ লোপাট করতে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি পুড়িয়েও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তার পর থেকেই নিখোঁজ মেয়েটির পরিবারের লোকজন।
ঘটনার কথা জানতে পেরেই ওই গ্রামে হানা দিয়েছিল পুলিশ। শ্মশানে গিয়ে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ থেকে প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টাও করেছে তারা। পুলিশ সুপার মনু মহারাজ বলেন, “ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন যে দু’জনকে পিটিয়ে মেরেছে তা স্পষ্ট। পুলিশ সেই মতো অভিযোগ দায়ের করেছে।”