এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কিশোরী পরিচারিকার উপর অত্যাচার করে তাকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল চেন্নাইয়ের এক দম্পতির বিরুদ্ধে। তাঁদের বাড়ির শৌচালয় থেকে ওই পরিচারিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি চেন্নাইয়ের মেহতা নগর এলাকার। ধৃতেরা হলেন মহম্মদ নিশাদ এবং তাঁর স্ত্রী নাসিয়া। তাঁদের বাড়িতে কাজ করত ১৫ বছরের কিশোরী। অভিযোগ, তার উপর নৃশংস অত্যাচার করতেন দম্পতি। ছোটখাটো বিষয়ে প্রতি দিন তাকে বকাঝকা করা হত। কিশোরীকে তাঁরা মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি ওই দম্পতির বাড়ির শৌচালয়ে কিশোরী পরিচারিকার নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার সারা গায়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। গরম লোহা এবং সিগারেটের ছেঁকার দাগও পাওয়া গিয়েছে কিশোরীর শরীরে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কিশোরীর দেহ বাড়িতে ফেলে দম্পতি এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আগে উকিলের পরামর্শ নেন। তাঁদের উকিলই পুলিশকে ওই কিশোরীর মৃত্যুর খবর দেন। তার পর উদ্ধার হয় দেহ। গ্রেফতার করা হয় দম্পতিকে।
পুলিশের অনুমান, বারংবার মারধর এবং অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। তার মা বিধবা। থাকেন থানজাভুর জেলায়। পেটের দায়ে কিশোরী কন্যাকে পরিচারিকার কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই দম্পতি ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে, কী ভাবে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আপাতত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।