Kapil Sibal

Kapil Sibal: একতরফা শাসনে ত্রস্ত দেশ, আক্ষেপ সিব্বলের

লকাতায় বণিকসভা ‘সিআইআই’ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস আয়োজিত আলোচনাসভায় তোপ দাগলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা সাংসদ কপিল সিব্বল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৫৭
Share:

ফাইল ছবি

বলা হচ্ছে, সমন্বয় এবং সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার (কোঅপারেটিভ ফেডারেলিজ়ম) কথা। কিন্তু দেশে ‘পীড়নমূলক একতরফা শাসন’ (কোয়ার্সিভ ইউনিল্যাটেরালিজ়ম) চলছে বলে শনিবার কলকাতায় বণিকসভা ‘সিআইআই’ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস আয়োজিত আলোচনাসভায় তোপ দাগলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা সাংসদ কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “২০১২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পীড়নমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনের কথা বলতেন। এখন পুরোদস্তুর একতরফা শাসন চলছে।”

Advertisement

নিজের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উদাহরণও পেশ করেছেন সিব্বল। তিনি বলেন, “কলঙ্কিত কৌশলে পরপর বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হচ্ছে। যোজনা কমিশন, কেন্দ্রীয় উন্নয়ন পরিষদের অভাবে কেন্দ্র-রাজ্য সংলাপটাই বন্ধ। কেন্দ্র একতরফা ঠিক করছে, কোন রাজ্যের ভাগে কোন বিষয়ে কত বরাদ্দ পড়বে। জিএসটি-র মতো বিষয়েও কেন্দ্রের একার সিদ্ধান্তই কার্যকর করা হচ্ছে। কেন্দ্রের নানা সেস, সারচার্জের চাপে রাজ্যের রাজস্বের ভাগ সম্প্রতি ৪২ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।” এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সংবিধানে ২৪৬এ অনুচ্ছেদটি মানলে জিএসটি পরিষদের সব সুপারিশ কেন্দ্র বা রাজ্য কারও জন্যই বাধ্যতামূলক নয়। আর্থিক যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থার দিক (ফিসক্যাল ফেডারেলিজ়ম) থেকে বিষয়টি ভাবা যেতে পারে! পশ্চিমবঙ্গের হাতে শুনেছি পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তা রাজ্য সরকারও বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।”

এ দিকে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও বিচারবিভাগকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। এমনকি, হাই কোর্টের মামলাগ্রহণ নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে, হাই কোর্ট রাজনৈতিক স্বার্থদুষ্ট মামলা বেশি নিচ্ছে। জনস্বার্থ মামলা নয়।” উপরন্তু, বিচারপতিদের নিয়োগ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিচারপতিদের রাজনৈতিক নিয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিচারবিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এ সব প্রবণতাও সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর।”

Advertisement

বণিকসভার সদস্যদের সামনে এ দিন কপিল ‘ইডি, সিবিআই’ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “যে ব্যবসায়ীরা শাসক দলকে নির্বাচনী বন্ড কিনে সাহায্য করছেন না, তাঁদেরও গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত দফতরের (এসএফআইও) আওতায় হয়রান করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অনেকেই লগ্নি বন্ধ করে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তাঁরা।’’ বাক্‌স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার খর্ব করার কয়েকটি ঘটনাতেও তাঁর মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে বলে এ দিন সিব্বল মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, অতিমারি মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সিব্বল তখনও বহু মানুষের জীবন, জীবিকায় দুর্ভোগ বয়ে আনা কেন্দ্রের একতরফা ডাকা লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথা মনে করান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement