—ফাইল চিত্র
মদ্যপান করতে না পেরে হতাশা বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এ বার এই যুক্তি দেখিয়ে মদ্যপায়ীদের মদ কেনার ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেরল সরকার। তবে সকলের জন্য নয়, মদ না পেলে যাঁদের উইথড্রয়াল সিনড্রোম দেখা দেয়, এক মাত্র তাঁদেরই ওই বিশেষ ‘পাশ’ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যে উইথড্রয়াল সিনড্রোমের শিকার হন, তা প্রমাণ করতে হবে। দেখাতে হবে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন। তবেই মিলবে পাশ।
সোমবার রাতে এই নির্দেশ জারি করেছে কেরল সরকার। ওই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, ‘লকডাউনের জেরে মদের দোকান বন্ধ থাকায়, যাঁরা দৈনিক মদ্যপান করেন তাঁদের অনেকে হতাশার শিকার হচ্ছেন। এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ওই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করা হবে।’ নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, দৈনিক মদ্যপান না করলে যাঁদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদেরই এই ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের অবশ্য চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে।
কেরল সরকারের ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যাঁদের উইথড্রয়াল সিনড্রোম দেখা দেয়, তাঁদের পাবলিক হেল্থ সেন্টার, জেলা হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকরা যদি লিখে দেন, মদ না পেলে ওই ব্যক্তি উইথড্রয়াল সিনড্রোমে আক্রান্ত হতে পারেন, তা হলেই তিনি আবগারি দফতর থেকে পাশ ও পরিচয় পত্র পাবেন। দোকানে সেই পাশ ও পরিচয় পত্র দেখালে তবেই মদ পাওয়া যাবে। তবে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখালেই যথেচ্ছ পানের ছাড়পত্র কিন্তু মিলবে না। মদের পরিমাপে থাকবে নিয়ন্ত্রণ।
আরও পড়ুন: দিল্লির নিজামউদ্দিনের জমায়েতে যোগ দেওয়া অন্তত সাত জনের মৃত্যু, বাড়ছে উদ্বেগ
কেরল সরকারের এই নির্দেশকে কিন্তু ভাল চোখে দেখছেন না চিকিৎসকরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর কেরলের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম ভার্গিস বলছেন, এটা অবৈজ্ঞানিক। তাঁর মতে, ‘‘যাঁরা উইথড্রয়াল সিনড্রোমে ভুগছেন তাঁদের চিকিৎসা প্রয়োজন। ওই চিকিৎসা বাড়িতে অথবা হাসপাতালে ভর্তি করেও দেওয়া যেতে পারে।’’
আরও পড়ুন: সব্যসাচীর বাড়িতে পুলিশ, লকডাউন ভেঙে বাইরে না বেরনোর সতর্কবার্তা